সর্বশেষ

অর্থনীতি

একদিনেই আটকে গেল সাড়ে ৩ হাজার কনটেইনার রপ্তানি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক বিভাগে চলমান শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছে দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে।

শুধুমাত্র একদিনেই রপ্তানি হয়নি ৩ হাজার ৬৮০ একক কনটেইনার পণ্য, যার বেশিরভাগই তৈরি পোশাকশিল্পের। কনটেইনারগুলো সময়মতো বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো না যাওয়ায় সরবরাহচেইনে বড় ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার তিনটি জাহাজ রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে যাত্রা করার কথা থাকলেও শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ডিপো থেকে পণ্য আসেনি। ফলে ‘এএস সিসিলিয়া’, ‘এক্সপ্রেস নিলওয়ালা’ ও ‘হং ডা জিন-৬৮’ নামের তিনটি জাহাজ জেটিতে অলস পড়ে রয়েছে।

তিন জাহাজে রপ্তানির অপেক্ষায় ছিল ৩,৬৮০ কনটেইনার:
এএস সিসিলিয়া – ৫৬৪ কনটেইনার (গন্তব্য সিঙ্গাপুর হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা)
এক্সপ্রেস নিলওয়ালা – ১,৪৬০ কনটেইনার
হং ডা জিন-৬৮ – ১,৬৬৬ কনটেইনার
ডিপো থেকে প্রতিদিনই তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য আসার কথা থাকলেও শুল্কায়ন না হওয়ায় বন্দরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, "ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ জমছে, কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তারা না থাকায় কোনো কনটেইনারই শুল্কায়ন হচ্ছে না।"

আন্দোলনের পেছনে কারণ কী?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ গঠনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৯ জুন থেকে শুরু হয় কাস্টমস ও কর কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচি। এই কর্মসূচির ফলে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন,
“কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নতুন করে কোনো কনটেইনার খালাস হয়নি, আবার রপ্তানির জন্য ডিপো থেকেও কিছু আসেনি।”

শুধু রপ্তানি নয়, আমদানির দিক থেকেও একই অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় অপেক্ষমাণ অনেক জাহাজ এখনো নিবন্ধনের অপেক্ষায়, ফলে খালাস শুরু করা যাচ্ছে না। আবার যেসব কনটেইনার খালাসের জন্য প্রস্তুত, সেগুলোও বন্দরের চত্বরেই আটকে রয়েছে।

শিপিং কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। সময়মতো পণ্য সরবরাহ না হলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করতে পারেন, যার পরিণতি হবে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও সুনাম—দুটোরই ক্ষতি।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন