সর্বশেষ

জাতীয়হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, হাদির অবস্থা সংকটজনক : চিকিৎসক
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
সারাদেশগাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল গ্রেপ্তার
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
সারাদেশ

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা মজুরি বকেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা  
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা  

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫ ২:৩৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণ কাজের প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা মজুরি বকেয়া রেখে পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম আর্থিক দুরবস্থার মুখে পড়েছেন নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন ও উপাধ্যক্ষ মো. আমানউল্লাহ আল হাদীর তত্ত্বাবধানে কলেজের প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রতি স্কয়ারফুট ২০০ টাকা চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ভবনের নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “কাজ চলাকালীন আংশিক টাকা পরিশোধ করা হলেও পুরো বিলের একটি বড় অংশ এখনো বকেয়া রয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অধ্যাপক আমানউল্লাহ আল হাদী বদলি হয়ে গেলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়া অধ্যাপক আবুল হাশেম ভবনটিকে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেন এবং বকেয়া টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান।”

তিনি আরও জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ গঠিত একটি শিক্ষকমণ্ডলীর হিসাব অনুযায়ী ৩৫ হাজার স্কয়ারফুট কাজের মোট বিল হয় ৭০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৪৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হলেও এখনো প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। আপোষের ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা ছেড়ে দেওয়ার পরেও ১৭ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এই টাকা তারা পরিশোধ করবেন না। তাই আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ভবিষ্যতে সেখানে কোনো শ্রমিক কাজ করবে না।”

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “বকেয়া মজুরি দ্রুত পরিশোধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

শ্রমিকদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।

৩০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন