সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি ও গাজা পরিস্থিতি: দ্বৈত মানের অভিযোগে বিতর্ক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫ ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরাইল ও ইরান সম্প্রতি একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগ মুহূর্তেও একাধিক হামলা চালানো হয়েছে, যার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে।

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির অনিশ্চয়তা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

 

ইরান কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও আর কোনো পাল্টা হামলা চালাবে না। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগ পর্যন্ত ইরান ভোর ৪টায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

অন‍্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গাজায় প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের জন্য দায়ী করেছে। আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলের বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করারও অভিযোগ তুলেছে।

গাজায় একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলেও, এবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইল নিজে যুদ্ধবিরতি বারবার ভেঙে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে, অথচ ইরানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করছে।

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি বন্দিদের পরিবার গাজায়ও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির দাবি তুলেছে। তারা বলছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হলে গাজাতেও তা সম্ভব, এবং সরকারের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগানো।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন