আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ এড়িয়ে চলছে
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫ ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার জেরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো একযোগে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, কাতারসহ একাধিক দেশের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিল ও স্থগিতের ঘটনা ঘটছে। যাত্রী ও বিমানকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম, লুফথানসা, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ওমান এয়ার, গালফ এয়ার, বিমান, ফ্লাইদুবাই, এয়ার আরাবিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এল আল (ইসরায়েল), আরকিয়া, আইবেরিয়া, ফিনএয়ার, সালামএয়ারসহ প্রায় সব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক এয়ারলাইন্স এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে।
ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান, লেবানন ও ওমানের আকাশসীমা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এড়িয়ে চলছে এসব সংস্থা। বিশেষ করে ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা হচ্ছে। সিরিয়া ও ইসরায়েলের আকাশও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (তেহরান), বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর (তেল আভিভ), দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদ কিং খালিদ বিমানবন্দর, আম্মান কুইন আলিয়া বিমানবন্দর, বৈরুত রাফিক হারিরি বিমানবন্দর, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম, লুফথানসা, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, ইতিহাদ, ফ্লাইদুবাই, এয়ার ইন্ডিয়া, এল আলসহ অন্যান্য সংস্থার ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্য, মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকা রুটের বহু ফ্লাইট বাতিল বা বিকল্প রুটে পরিচালিত হচ্ছে।
অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন এবং বিকল্প ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এয়ারলাইন্সগুলো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
১১৬ বার পড়া হয়েছে