আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা আবেদন চালু করছে যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবারের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন ও কঠোর নিয়ম।
আবেদনকারীদের এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট প্রকাশ্যে রাখতে হবে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আসবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ঘোষণায় জানানো হয়, আবেদনকারীদের ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গত কয়েক বছরের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হবে, কোনো আবেদনকারীর বক্তব্য বা আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে কিনা।
এই নির্দেশনার আওতায় মূলত এফ ক্যাটাগরির ভিসাগুলো পড়বে, যেগুলো সাধারণত উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষার (এম ভিসা) এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের (জে ভিসা) ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল প্রাইভেট রাখবেন, তাদের সম্পর্কে ‘কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন’ এমন সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের আবেদনকারীদের বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা জানান, “আমাদের নাগরিকরা প্রত্যাশা করেন, সরকার যেন যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিদিন সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।”
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যারা বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, তাদের সাহায্য করেন বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারেন—এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। ইহুদিবিরোধী বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়েও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগ দেশটির অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়তি নজরদারির অংশ। প্রশাসনের অভিযোগ, এসব প্রতিষ্ঠান বামপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত এবং সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমনেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ সহায়তা স্থগিত, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং ভিসা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপের অনেক অংশই আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আটকে আছে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে