শেয়ারবাজারে বড় ধস, ডিএসইতে সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ২:৩০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঈদের পর বড় উত্থানের মাত্র একদিন পরই বড় দরপতনের মুখে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইতে সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। হ্রাস পেয়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে সূচক উর্ধ্বমুখী থাকলেও বেলা ১২টার পর থেকে তা নিম্নমুখী হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকায় দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্ট।
মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনেও ধীরগতি দেখা গেছে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম। সোমবার (১৬ জুন) লেনদেন হয়েছিল ৪১৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ারে—২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি (১১ কোটি ১০ লাখ) এবং তৃতীয় স্থানে অগ্নি সিস্টেম (৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা)।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে—বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট এবং সিলকো ফার্মা।
এদিন ডিএসইতে ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে মাত্র ৬৭টির, কমেছে ২৭৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পরিস্থিতি ছিল কিছুটা ভিন্ন। সূচক সামান্য বেড়ে দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিএসইতে ১৮৯টির মধ্যে ৯৬টির দাম কমেছে, ৬৭টির বেড়েছে এবং ২৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে দিনশেষে মোট লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার।
১২২ বার পড়া হয়েছে