২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৪৫২ জন

এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ১,০৫৩ জন আসামি রয়েছেন। বাকি ৩৯৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি), মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস শাখার ইনামুল হক সাগর।

তিনি জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং চলমান অপরাধ দমন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। অভিযানে একাধিক মামলার পলাতক আসামি ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে শুধু গ্রেফতারই নয়, বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপজ্জনক কিছু সরঞ্জামও। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে উদ্ধার হয়েছে
২টি পিস্তল,
১টি ম্যাগজিন,
১ রাউন্ড গুলি এবং
১টি বার্মিজ চাকু।
এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, "বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর। অপরাধ নির্মূলে এ ধরনের বিশেষ অভিযান নিয়মিত চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।"

পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। শুধু মহানগর বা জেলা শহর নয়, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়েও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে জনসাধারণের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ অভিযান কোনো একদিনের কর্মসূচি নয়। অপরাধ রোধ, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই তৎপরতা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

এই ধরনের অভিযানে একদিকে যেমন পুলিশের সক্রিয়তা প্রকাশ পায়, তেমনি অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে, যা সামগ্রিকভাবে সামাজিক শান্তি রক্ষায় সহায়ক। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, অভিযানে যেন নিরীহ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও সংবেদনশীল থাকতে হবে।