সর্বশেষ

জাতীয়

এয়ারবাস চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পথে বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ ৫:০১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বহুল আলোচিত এয়ারবাস চুক্তি নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় নির্মাতা এয়ারবাসের সঙ্গে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সেই চুক্তি স্থগিত রয়েছে।

 

২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সফরকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ২০২৪ সালে দেশে গণঅভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে চূড়ান্ত চুক্তি আর এগোয়নি।

 

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিমানের বহর আধুনিকায়নে কোনো তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এয়ারবাস, বোয়িং, বোম্বারডিয়ারসহ সব কোম্পানির প্রস্তাব উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। গত ১০ জুন লন্ডনে এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ভার্শের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “সব প্রস্তাব শোনা হবে, তবে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নয়।”

 

এদিকে, এয়ারবাস বাংলাদেশকে ‘প্রধান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের সময়কার একতরফা সিন্ডিকেটের সুযোগ এখন আর নেই। ফলে, “শেখ হাসিনা-জয় সিন্ডিকেটের এয়ারবাসে আশায় গুড়ে বালি”—এমন মন্তব্যই এখন বাস্তবতার প্রতিফলন। বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে, যেখানে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পথেই নির্ধারিত হবে বিমানের ভবিষ্যৎ বহর।

১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন