গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৬০, আহত প্রায় ৪০০

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। হামলায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরপরই ‘জিম্মি উদ্ধার’ এবং ‘হামাস নির্মূল’ লক্ষ্যে অভিযান চালাতে থাকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সোমবারের হামলা সহ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে মোট ৫৪,৯২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৬,২২৭ জনে।

চলমান সংঘাতের মাঝে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। তবে সেই বিরতি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই, ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪,৬৪৯ জন নিহত এবং প্রায় ১৪,৫৭৪ জন আহত হয়েছেন।

জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই তাদের উদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বারবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে বলেছেন, “হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় নতুন করে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাতে সম্মতি দিলেও হামাস এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে কয়েকটি দেশ। তবে সেসব অভিযোগে কর্ণপাত না করে ইসরায়েল তাদের সামরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবিচল রয়েছে।