সর্বশেষ

জাতীয়

ইজারাদার নিয়োগে দেরি, দুশ্চিন্তায় কোরবানির হাট আয়োজকরা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩ জুন থেকে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসার কথা থাকলেও এখনো অধিকাংশ হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত করতে পারেনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঈদ উদযাপনের তারিখ ৭ জুন নির্ধারণ করায় হাটগুলোর কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ঈদের চার দিন আগে। তবে ইজারাপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় হাট বসানো নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন দরপত্রে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর একটি স্থায়ী (গাবতলী) হাটের পাশাপাশি ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি হাটের ইজারাদার নির্ধারণ করা গেছে। এই দুটি হাট হলো—মস্তুল চেকপোস্ট–সংলগ্ন খালি জায়গা এবং তেজগাঁওয়ের পলিটেকনিক মাঠ।

হাট আয়োজকরা বলছেন, একটি হাট প্রস্তুত করতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি দেশজুড়ে গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের আগাম জানানো, প্রচার-প্রচারণার আয়োজন—সব মিলিয়ে দেরিতে চূড়ান্ত হওয়া ইজারা কার্যক্রম তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা ছয়টি হাটের মধ্যে পাঁচটির মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এগুলোর চূড়ান্ত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে প্রশাসকের দপ্তরে। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল (রোববার) এর মধ্যে ইজারাপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা যাবে।

তবে উত্তরা দিয়াবাড়ি হাট, গাবতলীর স্থায়ী হাট এবং কালশী বালুর মাঠের হাট নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কালশী হাটের জন্য সরকার নির্ধারিত দর ৮০ লাখ টাকা হলেও সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে মাত্র ৩০ লাখ। এ কারণে ওই হাটের জন্য তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে দিয়াবাড়ি হাটের ইজারার ক্ষেত্রে দরপত্রের সঙ্গে পে-অর্ডারের মূল কপির বদলে ফটোকপি জমা দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি এখন প্রশাসকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রথম দফায় দরদাতাদের সমান দর দেওয়ায় মিরপুর-৬ ইস্টার্ন হাউজিং হাটের জন্য দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এবার সেখানে সর্বোচ্চ দর এসেছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সরকারি দর ছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার কিছু বেশি।

দুইটি বাতিল হওয়া হাটের স্থানে নতুন দুটি স্থান নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করে ডিএনসিসি। এর মধ্যে খিলক্ষেত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ৫০ লাখ টাকার সরকারি দর থাকলেও সেখানে দর এসেছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অন্যদিকে কাঁককুড়া বাজার–সংলগ্ন হাটের জন্য সর্বোচ্চ দর এসেছে ১৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, যেখানে সরকারি দর ছিল ৮ লাখ ২০ হাজার।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি কিংবা বার্তার জবাব দেননি।

ইজারাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি না হলেও জানিয়েছেন, কারা ইজারা পাচ্ছেন তা অনিশ্চিত থাকায় তাঁরা প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে হাট বসানোর প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যেত।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন