আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস আজ: গৌরবময় অবদান রেখে চলেছে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার , ২৯ মে, ২০২৫ ৩:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-র্যালি’, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রচার।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই গৌরবজনক স্থান ধরে রেখেছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল প্রথম, রুয়ান্ডা দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ মিশনে প্রেরণ করেছে ৫,২৩০ জন শান্তিরক্ষী, যার মধ্যে ৪৪৭ জন নারী।
বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধে সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশ ৬৩টি মিশনে অংশ নিয়েছে, যেখানে মোট ২ লাখ ৫৮ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে নারী ছিলেন ৩,৬৪৫ জন।
বর্তমানে জাতিসংঘের ১০টি মিশনে ৫,৬১৯ জন শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ভূমিকা পালন করছেন।
নতুন করে ডিআর কঙ্গোতে সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের সক্রিয় ও আধুনিক অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত। নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সংগ্রাম’ ভূমধ্যসাগরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে, আর বিশেষ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে দক্ষিণ সুদানে। বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট কঙ্গো ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত।
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২১,৮১৫ জন পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে ১,৯২৭ জন নারী। বর্তমানে ১৯৯ জন পুলিশ সদস্য মিশনে কর্মরত।
এ পর্যন্ত জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালনকালে ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২৭২ জন। তাঁদের সম্মানে আজ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
আজকের দিবস উপলক্ষে সকালে অনুষ্ঠিত হয় ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-র্যালি-২০২৫’। এছাড়া রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ এই দিনে জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে টক শো ও প্রামাণ্যচিত্র, যাতে তুলে ধরা হচ্ছে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবদান ও গৌরবময় ভূমিকা।
১৩০ বার পড়া হয়েছে