সুমাত্রায় মাঝরাতের ভূমিকম্পে শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, হতাহতের খবর নেই

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫ ৭:৪৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫২ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৮ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বেনগকুলু প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায়।
তবে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূভৌগোলিক সংস্থা (BMKG) জানিয়েছে, তাদের পরিমাপ অনুযায়ী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.০ এবং গভীরতা ছিল ৮৪ কিলোমিটার। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বেনগকুলু শহরের শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ছয়টি সরকারি ভবনও আঘাতে ক্ষতির শিকার হয়েছে। বেনগকুলুর কেন্দ্রীয় জেলার দুটি বাড়ি আংশিক ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে। এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে পরিবারসহ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ৩৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা এরিক চাতুর নুগ্রোহো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “ভূমিকম্পের সময় জানালাগুলো কাঁপছিল। আমি ও আমার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে বাইরে চলে যাই। আমাদের প্রতিবেশীরাও ঘর ছেড়ে বাইরে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন।”
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে থাকে। এর আগেও দেশটিতে একাধিক প্রাণঘাতী ভূমিকম্প ঘটেছে।
২০২১ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। ২০১৮ সালে পালু শহরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে প্রাণ হারান প্রায় ২,২০০ জন। আর ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
দেশটির কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৩২ বার পড়া হয়েছে