সর্বশেষ

জাতীয়

ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় স্থলপথে রপ্তানি অনিশ্চয়তায়, কূটনৈতিক সমাধানে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫ ৩:০২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারত হঠাৎ করে স্থলপথে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন দেশীয় রপ্তানিকারকরা।

এই নিষেধাজ্ঞার জবাবে বাংলাদেশ পাল্টা ব্যবস্থা না নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রপ্তানির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও সম্ভাব্য করণীয় ঠিক করতে আসন্ন ২০ মে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।


বাণিজ্য সচিব মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “ভারত একতরফাভাবে স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিষয়টি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। তবে প্রতিক্রিয়ায় আমরা সরাসরি পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিতে চাই না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছি।”

তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপের বদলে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই নজর দিতে চাই। ক্ষতি নিরূপণের পর আমরা কূটনৈতিক আলোচনায় যাব।”


দুই দেশের নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত সিইও ফোরামের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া ২০ মে আয়োজিত বৈঠকে নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, রাজস্ব বোর্ড, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার মনে করেন, “আমরা পাল্টা পদক্ষেপে গেলে পারস্পরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের হাতে তেমন শক্তিশালী বাজার ক্ষমতা নেই, তাই কূটনৈতিক পথই যৌক্তিক।”

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে হবে প্রথমে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে যেতে হবে। ভারত সরকারের উচিত হবে তাদের সিদ্ধান্তের স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রদান করা।”

সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, “এই ধরনের অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতা শুধু রপ্তানিতে সমস্যা সৃষ্টি করে না, আঞ্চলিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকেও বাধাগ্রস্ত করে।”


গত এপ্রিলেই ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে, যা ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প রপ্তানি পথ। পরে বাংলাদেশ স্থলপথে সুতা আমদানি সীমিত করে। এরপরই ভারত স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে। ভারতের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো একে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করছে।


বর্তমান পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীল বাণিজ্যের জটিলতা বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার উত্তেজনার বদলে আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে আগ্রহী। আগামী সপ্তাহের বৈঠকে এই সংকট নিরসনের একটি কার্যকর রূপরেখা তৈরি হতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন