আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: সারাদেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

শনিবার (১০ মে) রাতে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

এই ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাৎক্ষণিকভাবে জনসাধারণের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। রাত থেকেই মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও বিভিন্ন আনন্দ উদ্‌যাপনের খবর পাওয়া গেছে।

ফরিদপুর:
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংক মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক আনিসুর রহমান সজল ও জিহাদুল ইসলাম রত্ন।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে ছাত্রসমাজ নফল নামাজ আদায় করে কর্মসূচি শুরু করে। এরপর ইসলামী ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামিক ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের বড় বাজারে গিয়ে শেষ হয়। বক্তারা একে 'জনতার বিজয়' হিসেবে আখ্যা দেন।

কিশোরগঞ্জ:
ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে কিশোরগঞ্জের ছাত্র ও জনতা। এতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।

পঞ্চগড়:
শেরেবাংলা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঘোষণার খবর পাওয়ার পর তা আনন্দ মিছিলে রূপ নেয়। বাদ্যযন্ত্র, স্লোগান, আতশবাজি এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শহরজুড়ে বিজয় উদ্‌যাপন করেন ছাত্র-জনতা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়:
রাত ১২টায় জোহা চত্বর থেকে বিজয় মিছিল বের করে রাবির শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি):
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া মিছিলে ছাত্রশিবির ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। মিছিল শেষে মিষ্টি বিতরণ, পটকা ফোটানো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

এই ঘটনাগুলো দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত। তবে সরকারি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে।