ক্যান্সারে আক্রান্ত ইব্রাহিমকে বাঁচাতে প্রয়োজন ২০ লাখ টাকা

শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫ ৭:০৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২২ বছরের তরুণ মো. ইব্রাহিম খাঁ এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের দারিদ্র্য ঘোচাবেন, কিন্তু মরণব্যাধী ক্যান্সার কেড়ে নিচ্ছে তার জীবনের সম্ভাবনাময় পথচলা।
রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইব্রাহিমের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, যা সংগ্রহ করা তার দিনমজুর পিতার পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের সন্তান ইব্রাহিম বর্তমানে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএ (পাস কোর্স) শ্রেণির ছাত্র (শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২০২২)। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা এই মেধাবী ছাত্রটি ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় মনোযোগী ছিল। তার বাবা মো. ইউনুছ খাঁ একজন দিনমজুর এবং মা নার্গিস বেগম গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইব্রাহিম সবার বড়।
দুই বছর আগে কোমরে ব্যথা শুরু হলে প্রথমে সাধারণ ওষুধেই চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু ধীরে ধীরে ওষুধে কাজ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, শরীর ভেঙে পড়ে, ওজন কমতে থাকে, শুরু হয় মাথা ঘোরা ও দুর্বলতা। এরপর খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে এমআরআই রিপোর্টে তার মেরুদণ্ডে টিউমার ধরা পড়ে। পরে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয় এবং বায়োপসির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়—ইব্রাহিম ক্যান্সারে আক্রান্ত।
ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় মামা ও পিতা মিলে সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে এবং ধারদেনা করে ৬ লক্ষ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন। চিকিৎসক ডা. নাহিদ হাসান জানিয়েছেন, ইব্রাহিমের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৭টি কেমোথেরাপি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি কেমো দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তহবিলের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম, পঞ্চম কেমো থেরাপি দেওয়াও অনিশ্চিত।
শারীরিক অবস্থাও ক্রমেই অবনতির দিকে। এখন আর হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারছে না ইব্রাহিম। চিকিৎসা বন্ধ থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে পরিবার। সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষের দিকে চেয়ে আছেন তার পরিবার।
ইব্রাহিমের বাবা মো. ইউনুছ খাঁ বলেন,
"আমার কাছে ২০ লাখ টাকা স্বপ্নের মতো। কিন্তু যদি সমাজের মানুষরা একটুখানি এগিয়ে আসে, তবে হয়তো আমার ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব।"
সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা:
📱 মো. ইউনুছ খাঁ (পিতা): বিকাশ নম্বর – ০১৭৯৯-১৪১৬৪৪
📱 জিনারুল ইসলাম (মামা): রকেট নম্বর – ০১৯১৫-৮৯১৯০২
একটি তরুণ প্রাণকে ফিরিয়ে আনার জন্য সমাজের সচেতন ও সহানুভূতিশীল মানুষদের কাছে পরিবারের আবেদন—আপনার সামান্য সহায়তা ইব্রাহিমের জন্য হতে পারে জীবনদায়ী।
১১২ বার পড়া হয়েছে