বিজয় দিবসে বিভাজন ও হিংসা পরিহারের অঙ্গীকারের আহ্বান তারেক রহমানের
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনই বর্তমানে প্রধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিতে হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণীতে তারেক রহমান ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের কথা স্মরণ করে বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এ উপলক্ষে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী মা ও বোনদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়। অদম্য সাহসিকতায় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে, ১৬ ডিসেম্বর জাতির গৌরব, অহংকার ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
বাণীতে তিনি অভিযোগ করেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা বারবার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং সংবাদপত্রসহ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ধারাবাহিক একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিরোধী মত দমনে গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা এক নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখার কথাও বাণীতে উল্লেখ করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠাই সময়ের প্রধান দাবি।
বাণীর শেষাংশে তারেক রহমান মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন এবং দেশবাসীর প্রতি ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে এই বিজয়ের দিনে বিভাজন ও হিংসা পরিহার করে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিতে হবে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে