নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমন্বিত নিরাপত্তা প্রটোকল প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
রাজনৈতিক নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, বাসস্থান ও কার্যালয় সুরক্ষা, চলাচল, জনসভা এবং অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত হামলাকারী ও তাদের সহযোগীদের পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রধান সন্দেহভাজন যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাত থেকেই দেশের সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার ছবি ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। যদিও দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে, তবে বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে তাকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ট্রাভেল হিস্ট্রি অনুযায়ী, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর সফরের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে— এমন আরও কয়েকজনকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বৈঠকে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক শেখ হাসিনা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট এবং আসন্ন নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তার অনুসারীদের সহিংস কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করছেন।
বাংলাদেশ সরকার ভারতকে অনুরোধ করেছে, যেন তারা এসব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যদি তারা ভারতে প্রবেশ করে, সে ক্ষেত্রে তাদের দ্রুত আটক করে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে