উপদেষ্টার সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য, বাড়তি দামে তেল বিক্রি চলছে
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সরকারের সতর্কবার্তা ও পদক্ষেপের আশ্বাস সত্ত্বেও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো এক সপ্তাহ ধরে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে সয়াবিন তেল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
এতে কার্যত সরকারের নির্দেশনাকে অমান্য করে কোম্পানিগুলো নিজেদের ঠিক করা দামেই তেল বিক্রি করছে, আর ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে রান্নার তেল।
গত বুধবার সংবাদমাধ্যমে বাড়তি দামে তেল বিক্রির খবর প্রকাশিত হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, সরকারের অনুমতি ছাড়া তেলের দাম বাড়ানো আইনসম্মত নয়। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। পরদিন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতি লিটারে বাড়তি ৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। আজ রবিবারের বৈঠকে নতুন দাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই কোম্পানিগুলো বাড়তি দামে তেল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। ফলে ক্রেতাদের লিটারে ৯ টাকা বেশি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রূপচাঁদা, তীর, পুষ্টি, ফ্রেশসহ প্রায় সব ব্র্যান্ডই নতুন বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬৫ টাকা। প্রতি লিটারের বোতল ১৯৮ এবং দুই লিটার ৩৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা ও পাঁচ লিটার ৯২২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তবে বাজারে স্টারশিপসহ কিছু ব্র্যান্ডের পুরোনো মূল্যছাড়ের তেলও সীমিত পরিমাণে পাওয়া গেছে।
এদিকে খোলা ভোজ্যতেলের মূল্যও বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১৭০–১৭২ টাকা এবং পাম অয়েল ১৫২–১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দাম হওয়া উচিত ১৬৯ ও ১৫০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, তেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই; সব কোম্পানিই যথারীতি তেল দিচ্ছে। তবে তারা সবাই নতুন বাড়তি দরেই তেল সরবরাহ করছে।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়ে গত ১০ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, আইন মেনেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তারা এখনো কোনো অনুমোদন দেয়নি।
১৪০ বার পড়া হয়েছে