সর্বশেষ

মতামত

পলাতক এমপিদের লাল পাসপোর্টে বিদেশে যাতায়াত অব্যাহত!

মাসুদুল হাসান রনি
মাসুদুল হাসান রনি

রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১:৫০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছিল শেখ হাসিনার। একই সাথে অন্যান্য মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ ও কুটনৈতিকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছিল বলে গত বছর ২২ আগস্ট এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিশেষ পাসপোর্ট বাতিল করার পর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন বা মনিটরিং আছে কিনা?

বলতে পারেন, এই প্রশ্ন কেন করছি?

আমার পরিচিত পলাতক একজন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি কোলকাতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া ভ্রমন করেছেন এবং তিনি তাঁর কাজ শেষ করে কোলকাতা ফিরেছেন। এখন জানতে চাইবেন, তিনি কোন পাসপোর্ট দিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছেন?

সরকারের বাতিলকৃত লাল পাসপোর্টে তিনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন দিয়ে মালয়েশিয়া ভ্রমন করেছেন। শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন সুত্রে।

ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখভাল করার নেপথ্যে বড় ভুমিকা রাখছেন ঢাকায় একসময়ের ভারতীয় সাবেক রাস্ট্রদূত বীনা সিক্রি। আওয়ামীলীগের পক্ষে নেতাকর্মীদের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। হানিফের চাচাতো ভাই, কুষ্ঠিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও হ*ত্যা মামলার আসামী আতাউর রহমান আতা কোলকাতা থেকে এখন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর কোলকাতা ত্যাগে নির্বিঘ্নে ইমিগ্রেশন পার হতে বিনা সিক্রির ভুমিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এবার আসুন, বাতিলকৃত পাসপোর্ট নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি কি শেষ কথা?
না, সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকেই যায়। কিন্ত আমার মনে হয়, সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে দায়িত্ব শেষ করেছে।
তারা কি এই প্রজ্ঞাপন বিভিন্ন দুতাবাসে এবং বর্হিবিশ্বের দেশগুলোকে জানিয়েছে? কিংবা কোন ব্যবস্থা গ্রহনে অনুরোধ জানিয়েছে?

সম্ভবত না।
তা না হলে কিভাবে পলাতকরা কলকাতা হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাল পাসপোর্টে যাচ্ছে?

যতটুকু জানা গেছে, ইমিগ্রেশন ডেটাবেইজে সব বাতিল তথ্য রিয়েল-টাইমে আপডেট হয়নি, বিশেষ করে জাতীয়তা, ভ্রমণকারীর সংখ্যা, আইটি ট্র্যাকিং-ত্রুটি ইত্যাদি কারণে অনেকে সিস্টেমিক ভুলে অন্যান্য দেশে এই পাসপোর্টে ঢুকে যেতে পারেন।

ভারত থেকে যারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ইমিগ্রেশন যদি “এক্সিট” বা “চেক-আউট” হিসেবে বাতিল ঘোষণা বা ফ্ল্যাগ না করে, তাহলে মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় সেসব দেশের ইমিগ্রেশন সবসময় বাংলাদেশ সরকারের বাতিল তালিকার সাথে realtime crosscheck করতে পারে না।

এসব কারণে বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টে আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে—তাই কঠোর ট্র্যাকিং, বেশি ডকুমেন্টেশন ও অনেক রিজেকশন হচ্ছে। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের মামলায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কখনো কখনো “ব্যতিক্রম” করেন অথবা তারা সেসব বাতিল তথ্য হাতে পান না। এসব বিষয়ে সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগ যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
লেখক: গনমাধ্যম কর্মী

১৯৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন