সাত কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে
বৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
টানা তিন দিনের শিক্ষক কর্মবিরতির কারণে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবারও স্থবির।
আগামী দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায়, মোট পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। শিক্ষকমণ্ডলী আগামী রোববার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র ভর্তি ও ক্লাস শুরুর নির্দেশনা ‘আইনসিদ্ধ নয়’ দাবি করে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের কর্মসূচি পালন করছেন। এতে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ সাত কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ।
ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবীর হাসান বলেন, 'দুই দিন ধরে কলেজে এসেছি। ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ, অনলাইনে নোটিশ আছে, কিন্তু বাস্তবে কিছু হচ্ছে না।' ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী লুৎফুন্নেছা লতিফা জানান, 'বিভাগে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। কাগজপত্র জমা দিতে পারছি না।'
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ঢাকা কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. দিলুর রহমান বলেন, 'কর্মসূচি প্রত্যাহারের কোনো নির্দেশ পাইনি, তাই আগের মতোই চলছে।'
শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলছেন, কলেজ শিক্ষক হিসেবে তারা প্রভাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারেন না। বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষকীর কথায়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তারপরও ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিচয় কী - কলেজ শিক্ষক নাকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক?'
সাত কলেজে প্রায় ১,২০০ বিসিএস শিক্ষক কর্মরত। সাত কলেজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, 'শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর আইনি অবস্থান নিশ্চিত না করে ক্লাস-ভর্তি শুরু করা অসম্ভব।'
শিক্ষকরা সরকারকে অনুরোধ করছেন, 'প্রথমে কাঠামো নির্ধারণ করুন, তারপর ভর্তি ও ক্লাস শুরু করুন।' শিক্ষার্থীরাও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মারিয়া হক শৈলী বলেন, 'সাত কলেজ ইস্যু এত জটিল নয়। নীতিগত স্পষ্টতার অভাবে মাসের পর মাস ধরে শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির।'
১১৪ বার পড়া হয়েছে