সর্বশেষ

গণমাধ্যম

সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে রাত ১২টার পর গ্রেপ্তার, ১০ ঘণ্টা পর ছাড়া

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ৭:৫০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বুধবার ভোরে তাকে স্ত্রীর কাছে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম জানিয়েছেন, 'সোহেল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে অনুমতি ছাড়া তিনি সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম ব্যবহার করেছিলেন। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে ভোরে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।'

সোহেল নিজেও ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, তার গ্রেপ্তারি কোনো অপরাধমূলক কারণে হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার জন্য ‘সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায়’ তাকে আটক করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তারি বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'এটি আমি প্রথম শুনলাম। তদন্তের পর স্পষ্টভাবে বলা যাবে।'

সোহেলের স্ত্রী সুমাইয়া সীমা জানান, 'পাঁচজনের মধ্যে একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন, ডিবি প্রধান সোহেলের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরিয়ে আনা হবে।'

সোহেল ঢাকার তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন সেন্টার ফর টেকনোলজি জার্নালিজম (সিটিজে)-এর সহসভাপতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ আহমাদ বলেছেন, 'রাত ১২টার পর বাসা থেকে তুলে নেওয়া ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।'

সোহেল বলেন, “ডিবি অফিসে আসামির খাতায় নাম লেখা হয়। জুতা-বেল্ট খুলে রেখে আমাকে আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়। গ্রেপ্তারের কোনো যৌক্তিক কারণ জানাতে পারেননি। পরে বুঝতে পারলাম, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় ৯ জন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে আমাকে আটক করা হয়েছিল।”

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, 'ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নিয়ে এমবিসিবির সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। এটি দেশের মুক্ত বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে।'

সোহেল প্রশ্ন তুলেছেন, 'একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকার কেন ভয় পায়? শুধু প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতে রাতের মধ্যেই আমাকে তুলে নিতে হয়েছিল কেন? এ কি বাকস্বাধীনতার বাস্তব চিত্র?'

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যম নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন