এই মামলার বিচার কার্যক্রম, পটভূমি ও বিচার স্বচ্ছতা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। মামলার আসামি তালিকায় ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলার পটভূমি:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয় শহীদ সিয়ামের বাবা বুলবুল ফকিরের মাধ্যমে, যা পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে দাখিল করেন।
বিচার কার্যক্রম:
বিচার শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। মামলার তদন্ত সংস্থা ১২ মে অভিযোগপত্র ও প্রমাণাদি জমা দেয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৮১ জন সাক্ষী তালিকাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে ৫৪ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
প্রধান অভিযোগ:
১. গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান
২. রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবু সাঈদের হত্যা
৩. হেলিকপ্টারে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ
৪. চাঁনখারপুলে ৬ জনকে হত্যার নির্দেশ
৫. আশুলিয়ায় ৬ জনকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর নির্দেশ
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসামিদের দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম পরিবারের মধ্যে বণ্টনের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
বিচারের স্বচ্ছতা:
প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম দাবি করেছেন, ট্রাইব্যুনালে বিচার স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মতে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে রায়ের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে