সর্বশেষ

সাহিত্য

কবিতা ও সভ্যতা

গাউসুর রহমান
গাউসুর রহমান

রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কবিতা ও সভ্যতা —এই দুই প্রত্যয়ের সম্পর্ক এক জটিল, অবিচ্ছেদ্য এবং মিথোজীবিতার মতো জটিলতায় আবৃত।

সভ্যতা কেবল ইট-কাঠ-পাথরের ইমারত, রাজনৈতিক কাঠামো বা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সমষ্টি নয়; সভ্যতা মূলত একটি নির্দিষ্ট জনপদের সংবেদনশীলতা, মূল্যবোধ, আত্মপরিচয় এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিবর্তনের একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া। এই বিবর্তনের সবচেয়ে বিশুদ্ধ, সংহত এবং অন্তর্লীন দলিলটিই হলো কবিতা। কবিতা সভ্যতার অলঙ্কার নয়, বরং তার আত্মপরিচয়ের অপরিহার্য ভাষা। সে কেবল সভ্যতার প্রতিবিম্ব নির্মাণ করে না, বরং সভ্যতার সৃজনশীল প্রতিসরণ ঘটায়—কখনো তাকে অতিক্রম করে, কখনো বা তার ক্ষতবিক্ষত রূপটিকে উন্মোচন করে। ইতিহাস যেখানে ঘটনার বাস্তব তালিকা লিপিবদ্ধ করে, কবিতা সেখানে সেই ঘটনার নেপথ্যে প্রবহমান সংবেদনার নির্যাসটুকু ধারণ করে। তাই বলা যায়, কবিতা হলো সভ্যতার অবচেতন মনের কথ্যরূপ। সে একইসাথে সভ্যতার ভিত্তি নির্মাণকারী পুরাণ (মিথ) এবং সেই ভিত্তির ফাটল ধরানো দ্রোহ—দুইকেই ধারণ করে।

বিশ্ব সাহিত্যের দিকে তাকালে এই সম্পর্কের বিস্তার এবং বৈচিত্র্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুতে হোমারের "ইলিয়াড" এবং "ওডিসি" মহাকাব্যগুলো কেবল বীরত্বগাথা ও নিয়তির দ্বৈরথ নয়, তা গ্রিক জনপদের নৈতিকতা, সম্প্রদায়ের ঐক্য এবং মানুষের অসীমাকাঙ্ক্ষার একটি সভ্যতাগত মানচিত্র। এই কাব্যগুলো পরবর্তী হাজার বছরের পাশ্চাত্য সভ্যতার নন্দনতত্ত্ব, বীরত্বের ধারণা এবং এমনকি আইন-ন্যায়ের ভিত্তিকে নির্মাণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, রোমান কবি ভার্গিলের "এনিয়েড" রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় দর্শনকে কাব্যে রূপ দিয়েছে—এখানে ইনিয়াসের যাত্রা কেবল একটি ব্যক্তিগত অ্যাডভেঞ্চার নয়, বরং রোমান সভ্যতার সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা এবং দেবতাদের ইচ্ছাকৃত ঐক্যের প্রতীক। মধ্যযুগে দান্তে আলিঘিয়েরি "ডিভাইন কমেডি" খ্রিষ্টীয় সভ্যতার ধর্মীয়, নৈতিক এবং রাজনৈতিক মানচিত্র এঁকেছেন। এই কাব্যে নরক, পুর্গেটরি এবং স্বর্গের যাত্রা কেবল আধ্যাত্মিক অভিযান নয়, বরং ইউরোপীয় সভ্যতার পাপ-পুণ্যের দ্বন্দ্ব, চার্চের কর্তৃত্ব এবং ফিওরেন্টাইন রাজনীতির একটি কাব্যিক সমালোচনা। দান্তের ভাষা লাতিন থেকে ইতালীয়ের দিকে স্থানান্তরের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা সভ্যতার ভাষাগত বিবর্তনকে চিহ্নিত করে।

রেনেসাঁ যুগে শেক্সপিয়রের নাটক এবং সনেটগুলো মানবতাবাদী সভ্যতার মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি উন্মোচন করেছে। "হ্যামলেট"-এর "হও বা না হও" এর দ্বন্দ্ব কেবল ব্যক্তিগত সংকট নয়, বরং ইউরোপীয় সভ্যতার ধর্মান্তর এবং বৈজ্ঞানিক যুগের আগমনের মুখোমুখি হওয়ার অস্তিত্ববাদী প্রশ্ন। শেক্সপিয়রের কবিতা সভ্যতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং নৈতিক পতনের জটিলতাকে এমনভাবে উন্মোচিত করেছে যা আজও পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞান এবং নাটকের ভিত্তি। শিল্পবিপ্লবের যুগে, যখন ইউরোপীয় সভ্যতা যান্ত্রিকতার নিগড়ে বাঁধা পড়ে, রোমান্টিক কবিরা যেমন উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এবং পার্সি বিশি শেলি প্রকৃতির মাঝে হারানো আধ্যাত্মিক সভ্যতার সন্ধান করেছেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থের "টিনটার্ন অ্যাবি" প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগকে পুনরুদ্ধার করে যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে সংবেদনশীলতার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। শেলির "প্রমেথিউস আনবাউন্ড" বিপ্লবী আত্মার প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী সভ্যতার স্বাধীনতা-আকাঙ্ক্ষাকে কাব্যে রূপ দিয়েছে। উনিশ শতকের শেষভাগে, প্যারিসের আধুনিকায়নের গতির সাথে যে বিচ্ছিন্নতা এবং 'স্প্লিন' (স্প্লিন) তৈরি হয়েছে, চার্লস বোদলেয়ারের "লেস ফ্লুর্স ডু মল" সেই নগর-সভ্যতার কদর্যতা এবং সৌন্দর্যকে এক নতুন কাব্যভাষায় ধারণ করেছে। বোদলেয়ারের কবিতা মডার্নিজমের ভিত্তি স্থাপন করে, যেখানে সভ্যতার অন্ধকার দিকগুলোকে সৌন্দর্যের সাথে মিশিয়ে একটি নতুন সৌন্দর্যতত্ত্ব তৈরি করেছে।

বিশ শতকে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় সভ্যতার খণ্ডবিখণ্ড, নৈরাশ্য এবং বন্ধ্যাত্বের চিত্র টি. এস. এলিয়টের "দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড" এর সবচেয়ে নির্মোহ কাব্যিক রূপায়ণ। এই কাব্যটি সভ্যতার অবক্ষয়কে মিথ, ধর্ম এবং আধুনিক জীবনের টুকরোগুলোর মোজাইক হিসেবে উপস্থাপন করে, যা পরবর্তী মডার্নিস্ট সাহিত্যের পথিকৃৎ। কিন্তু বিশ্ব সাহিত্য শুধু পাশ্চাত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। লাতিন আমেরিকায় পাবলো নেরুদার "ক্যান্তো জেনারাল" চিলিয়ান সভ্যতার রাজনৈতিক সংকট, শ্রমিকদের দুঃখ এবং প্রকৃতির সাথে মানুষের যোগাযোগকে কাব্যে রূপ দিয়েছে। নেরুদার কবিতা সভ্যতার সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে একটি বিপ্লবী আওয়াজ, যা লাতিন আমেরিকান বামপন্থী আন্দোলনের কাব্যিক ভিত্তি। মেক্সিকান কবি ওকতাভিয়ো পাজের "ল্যাবিরিন্থ অফ সলিটিউড" মেক্সিকান সভ্যতার ঐতিহ্য, আধুনিকতা এবং লিঙ্গ-সম্পর্কের জটিলতাকে অন্বেষণ করে, যা আফ্রো-ইন্ডিজেনাস মিশ্রণের একটি সভ্যতাগত সমালোচনা। এশিয়ায়, চীনা কবি লি বাইয়ের ট্যাঙ্গ যুগের কবিতা চীনা সভ্যতার ডাওইস্ট দর্শন এবং প্রকৃতির সাথে সমন্বয়কে ধারণ করে, যা পরবর্তী চীনা সভ্যতার আধ্যাত্মিক ভিত্তি। আফ্রিকান সাহিত্যে, লেসোটোর কবি মজিসি কুনেনের কবিতা কলোনিয়াল সভ্যতার বিরুদ্ধে আফ্রিকান ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার করে, যা নিওকলোনিয়ালিজমের সমালোচনা। এইসব উদাহরণ থেকে স্পষ্ট যে, কবিতা সভ্যতার সীমান্ত অতিক্রম করে বিশ্বব্যাপী একটি সংলগ্ন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, যেখানে স্থানীয় সংবেদনা বিশ্বজনীন সত্যে রূপান্তরিত হয়।

বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গভীর, স্তরবিন্যস্ত এবং ঐতিহাসিকভাবে জটিল। বাঙালি সভ্যতা মধ্যযুগীয় আচ্ছন্নতা ভেদ করে আধুনিকতার আলো-আঁধারিতে প্রবেশ করার মুহূর্তে মাইকেল মধুসূদন দত্ত "মেঘনাদবধ কাব্য"-এর মাধ্যমে মহাকাব্যের প্রাচীন কাঠামোর উপর এক নতুন, দ্রোহী এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী মানবাত্মার স্পন্দন সঞ্চারিত করেছেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবন কেবল রচনারীতির বিপ্লব নয়, রাবণের মতো পৌরাণিক খলনায়ককে মানবিক উচ্চতায় স্থাপনের মাধ্যমে বঙ্গীয় রেনেসাঁর আত্মবিশ্বাস এবং প্রথাভাঙার স্পৃহাকে ধারণ করে। এই আধুনিকতার পূর্ণ বিকাশ ঘটল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে। তাঁর "গীতাঞ্জলি" বা "মানসী" বাঙালি সভ্যতার আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতিচেতনা, রোমান্টিক সংবেদনশীলতা এবং আন্তর্জাতিকতাবাদী মানবতাবোধের চূড়ান্ত অভিজ্ঞান। রবীন্দ্রনাথ ভাষাকে মননশীল উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, যা এক শতাব্দী ধরে বাঙালি সভ্যতার পরিচায়ক। কিন্তু তিনি কেবল সুন্দরের আরাধনাতেই সীমিত নন; "ঘরে বাইরে" বা "রক্তকরবী"-র মাধ্যমে ঔপনিবেশিকতা এবং যান্ত্রিক সভ্যতার অমানবিকতার গভীর কাব্যিক সমালোচনা নির্মাণ করেছেন। তাঁর কবিতা বাঙালি মনের সেই স্থায়ী ছাপ রেখেছে যা সভ্যতার সৃজনশীলতাকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে গেছে।

সভ্যতা কেবল সুন্দরের আরাধনা নয়, সংকটেরও আধার। উপনিবেশবাদী শাসনের নিষ্পেষণ এবং সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের 'বিদ্রোহী' কবিতা এক প্রচণ্ড নান্দনিক বিস্ফোরণ। এটি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান ছাড়াও হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্যের সংশ্লেষে এক অসাম্প্রদায়িক, শোষিতের সভ্যতার স্বপ্ন দেখিয়েছে। নজরুলের কবিতা বাঙালি সভ্যতার বিপ্লবী আত্মাকে জাগ্রত করেছে, যা পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনের কাব্যিক ভিত্তি। সংকট যখন ঘনীভূত হয়, তিরিশের দশকের আধুনিক কবিরা যেমন জীবনানন্দ দাশ নগর-সভ্যতার ক্লান্তি, অবক্ষয় এবং ঐতিহাসিক শূন্যতার রূপকার হয়েছেন। "বনলতা সেন"-এর মাঝে তিনি হাজার বছরের আশ্রয় খুঁজেছেন, যখন "আট বছর আগের একদিন"-এ আধুনিক সভ্যতার আত্মঘাতী প্রবণতা উন্মোচিত করেছেন। জীবনানন্দের কবিতা বাঙালি সভ্যতার প্রকৃতি-মানুষের দ্বন্দ্বকে এক অস্তিত্ববাদী গভীরতায় নিয়ে গেছে, যা আধুনিকতার বিচ্ছিন্নতাকে প্রতিফলিত করে।

দেশভাগ-পরবর্তী সময়ে বাংলা কবিতা দুই বাংলায় দুই ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশে শামসুর রাহমান সদ্য স্বাধীন জাতির নাগরিক আত্মার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন। তাঁর "বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা" বা "স্বাধীনতা তুমি" ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের জন্মযন্ত্রণা, স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের দলিল। অন্যদিকে আল মাহমুদ বাংলাদেশের আধুনিক কবিতার এক অমর নক্ষত্র, যাঁর কবিতা গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য এবং শহুরে সংবেদনের এক অসামান্য সংশ্লেষ ঘটিয়েছে। তাঁর "সোনালী কাবিন" (১৯৬৬) বাঙালি সভ্যতার শেকড়কে পুনরায় গ্রামীণ জীবনের উর্বর পলিতে প্রোথিত করার এক শৈল্পিক এবং রাজনৈতিক প্রয়াস। তাঁর "লোক লোকান্তর" বা "কালের কলস" গ্রন্থগুলোতে ইসলামী ঐতিহ্য, বৌদ্ধ-হিন্দু লোককথা এবং মার্ক্সবাদী চেতনার মিশ্রণ ঘটেছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সভ্যতার বহুস্তরীয়তা উন্মোচিত করে। আবার, রফিক আজাদের কবিতা তীব্র শ্লেষ এবং ক্ষোভের মাধ্যমে স্বাধীনোত্তর সভ্যতার স্ববিরোধিতা এবং বঞ্চনার চিত্র ওঠে এসেছে ।

পশ্চিমবঙ্গে, পঞ্চাশ-ষাটের দশকের 'কৃত্তিবাস' গোষ্ঠীর কবিরা যেমন শক্তি চট্টোপাধ্যায় বাউণ্ডুলে, প্রতিষ্ঠানবিরোধী চেতনায় 'ভদ্রলোক' সভ্যতার শৃঙ্খল অস্বীকার করেছেন। তাঁর "যমুনা" বা "প্রহেলিকা" পলায়নের আর্তি এবং অস্তিত্বের আসক্তিকে ধারণ করে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "নীরা" প্রেম, দ্রোহ এবং না-পাওয়ার যন্ত্রণায় অস্থির সময়ের নাগরিক যন্ত্রণা খুঁজে ফিরেছে। এই গোষ্ঠী কবিতাকে শহুরে 'আড্ডা'-র ভাষায় নামিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক কাব্য-সভ্যতার সূচনা করেছে। পরবর্তীকালে, সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা বিনোদনাথ ঠাকুরের মতো কবিরা শ্রমিক-সভ্যতার দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছেন, যা বাঙালি সভ্যতার শ্রেণীসচেতনতাকে সমৃদ্ধ করেছে।

বস্তুত, কবিতা সভ্যতার সেই সূক্ষ্ম স্নায়ুতন্ত্র, যা তার প্রতিটি স্পন্দন, আনন্দ, যন্ত্রণা এবং অবক্ষয়কে লিপিবদ্ধ করে। কবিতা একইসাথে সভ্যতার স্মৃতি এবং ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। সে সভ্যতার দর্পণ, আবার সেই দর্পণ চূর্ণ করার হাতুড়িও। সভ্যতা যদি মানব অভিজ্ঞতার বিস্তৃত প্রান্তর হয়, তবে কবিতা সেই প্রান্তরের গভীরতম বিন্দু থেকে উৎসারিত নির্ঝর, যা সভ্যতার প্রাণরস এবং সংবেদনশীল সত্যকে যুগ থেকে যুগান্তরে বহন করে। বিশ্ব সাহিত্য এবং বাংলা সাহিত্যের এই দ্বৈত দৃষ্টিকোণ থেকে স্পষ্ট যে, কবিতা ছাড়া সভ্যতা অসম্পূর্ণ—এটি তার হৃদয়স্পন্দন। আজকের ডিজিটাল যুগে, যখন সভ্যতা গ্লোবালাইজেশন এবং পরিবেশ সংকটের মুখোমুখি, কবিতা তার পুনর্জন্মের মাধ্যম হয়ে উঠবে। এই সম্পর্কের গভীরতা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সভ্যতা কেবল ইতিহাস নয়, কবিতা তার চিরন্তন কণ্ঠস্বর।

 
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, সহকারী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশুলিয়া, ঢাকা।

১৫০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সাহিত্য নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন