সর্বশেষ

জাতীয়

পদোন্নতির জটিলতায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা: নামছেন আন্দোলনে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত আদেশের কারণে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলাদেশ শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করার পরও ৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না অনেক যোগ্য প্রভাষক।

২০০০ সালের বিধিমালা সম্পর্কিত জটিলতা এবং মামলার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও আইনি পদক্ষেপ নিলেও এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। মাউশি এবং বিসিএস শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে বারবার মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দেওয়া হলেও পদোন্নতির কোনো আদেশ আসেনি।

বর্তমানে, পদোন্নতি প্রত্যাশীরা 'বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ'-এর ব্যানারে আগামী রোববার থেকে ‘নো প্রমোশন নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ২০২৪ সালে মন্ত্রণালয় ২০০০ সালের বিধিমালা অমান্য করে ৫৪টি আদেশ জারি করে প্রায় ২০০০ আত্মীকৃত শিক্ষককে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়। এই আদেশগুলো এখন বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

গত ১৭ মাস ধরে পদোন্নতি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাউশি কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুন ও নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) সভা পরেও পদোন্নতি আদেশ জারি হয়নি।

এদিকে, অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা গত বছরেই পদোন্নতি পেয়েছেন, এমনকি বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৫০০ কর্মকর্তাকেও সম্প্রতি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের জটিলতা সমাধান হয়নি।

৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের প্রভাষকরা, যাদের অনেকেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তারা এখনও পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করছেন। এই আন্দোলনের মুখে, বিসিএস শিক্ষা সমিতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা সরকারের কাছে দ্রুত পদোন্নতির জন্য দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রভাষকদের পদোন্নতি জটিলতা নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

১২২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন