খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে জেলা শহরের মুক্তমঞ্চ এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে আদালত সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পথঘাট ঘুরে আবার মুক্তমঞ্চে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে বক্তারা জানান, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন জরুরি, তাই প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। বক্তাদের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির প্রভাবে এমন মন্তব্য করেছেন। তাদের দাবি—বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন নেমে গেছে, তাই নির্বাচনই জনসমর্থন যাচাইয়ের একমাত্র পথ।
জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী বলেন, গণভোট ছাড়া ২০২৬ সালের কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বক্তারা আরও দাবি করেন, দীর্ঘ সময় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুর্নীতি-সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ ভুগেছে। এবার আর “ফ্যাসিস্ট শক্তি” যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারি এবং এর ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি তুলে ধরা হয়। বক্তারা বলেন, গণভোট ও নির্বাচন পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে হওয়া উচিত, যাতে জবাবদিহি নিশ্চিত হয় এবং “দিনের ভোট রাতে” পড়ার সুযোগ না থাকে।
খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমীর মো. ইলিয়াছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন-
জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী
জেলা সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফ
শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুস সাত্তারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
বক্তারা আরও বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে “জুলাই যোদ্ধাদের” নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও অপপ্রচার চলতে পারে বলে। দুর্নীতি ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিই সবচেয়ে উপযুক্ত বলেও তারা উল্লেখ করেন।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে