সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসী পরিকল্পনার নতুন তথ্য উদ্ঘাটন

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৫:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা হামলার জন্য মোট ৩২টি গাড়ি প্রস্তুত করছিল। এই তথ্য এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, হামলার জন্য ব্যবহৃত গাড়ির মধ্যে ছিল মারুতি সুজুকি ব্রেজা, মারুতি সুইফট ডিজায়ার, ফোর্ড ইকোস্পোর্টসহ বিভিন্ন মডেলের গাড়ি। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, সোমবার সন্ধ্যায় এসব গাড়ি ব্যবহার করে ছয়টি পৃথক হামলা চালানো হতো, যার মধ্যে প্রধান লক্ষ্য ছিল দিল্লি। হামলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের স্মরণে ৬ ডিসেম্বর।

পুলিশ জানিয়েছে, শনাক্ত করা গাড়িগুলো পুরোনো ও বারবার মালিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বর্তমানে সব গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

ফারিদাবাদের আল–ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রাঙ্গণ থেকে একটি ব্রেজা গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। একই শহরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ফোর্ড ইকোস্পোর্টে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন যুবককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, একটি ডিজায়ার গাড়ি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্দাই আই২০ গাড়িতে উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক ও অ্যামোনিয়াম-নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ছিল। তবে বিস্ফোরণটি পরিকল্পনার আগেই ঘটে যায়, যা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসী উমর মোহাম্মদ। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে, তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

আই২০ গাড়িটি সোমবার সকালে বাদারপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করেছিল এবং শহরে ঘোরাফেরা করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি লালকেল্লার পার্কিং লটে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য রাখা হয়েছিল।

তদন্তে দেখা যাচ্ছে, উমর মোহাম্মদ ও তার সহযোগীরা পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছিলেন। তারা লালকেল্লার প্রবেশদ্বারের বাইরে, ব্যস্ত সিগন্যাল এবং মেট্রো স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এই সন্ত্রাসী সেলটি পরিচালিত হচ্ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জইশ–ই–মোহাম্মদ গোষ্ঠীর মাধ্যমে।

দীর্ঘ তদন্তে জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা নতুন কৌশল অবলম্বন করছিল- চিকিৎসকের মতো পেশাদারি পরিচয় ধারণ করে সমাজের আস্থা অর্জন এবং সন্দেহ এড়ানো। সেলের রহস্য ফাঁস হয়, যখন সিসিটিভি ফুটেজে তাদের সদস্য রাঠারকে জইশ–এর প্রশংসা করে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়। পরে তিনি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার হন।

প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে, এই সেলে জড়িত অনেকেই আল–ফালাহ স্কুলের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে যে, তারা এসব কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে এবং দেশের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন