রাজধানীতে আজ যুগপৎ আন্দোলনের গণসমাবেশ
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর পল্টনে আজ দুপুরে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দলের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকরা আশা করছেন, এ সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে পল্টন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে আট দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আগামীকাল হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দেবেন। আমরা রাজধানী ও আশপাশের এলাকার জনগণকেই এতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, আমরা চাইলে সারাদেশব্যাপী সমাবেশ করতে পারতাম, কিন্তু আপাতত রাজধানীকেন্দ্রিক আয়োজনের মধ্য দিয়েই সরকারের কাছে জনগণের মতামত স্পষ্টভাবে পৌঁছাবে বলে আশা করি।
জামায়াত নেতা বলেন, আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়েছে, বর্তমানে পঞ্চম পর্ব চলছে। এর অংশ হিসেবে ৬ নভেম্বর স্মারকলিপি প্রদান এবং ১১ নভেম্বর গণসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। জনগণের মৌলিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটি কোনো রাজনৈতিক জোট নয়, বরং একটি যৌথ আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম।
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি জানিয়েছে তারা জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবে না। তবে আমরা বলেছি, তারা ডাক দিলে আমরা অবশ্যই সাড়া দেব। আলোচনা ও আন্দোলন- দুটিই আমরা চালিয়ে যাব।
জনদুর্ভোগ প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা সব সময় জনদুর্ভোগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তাই আজকের কর্মসূচির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিষয়ে তিনি জানান, আলোচনা ব্যর্থ হয়নি। আলোচনা থেকে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে এবং সেটিতে স্বাক্ষরও হয়েছে। তবে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে কিছু মতপার্থক্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণভোট একসময় সংবিধানে ছিল, পরে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা পাঁচ বছর পরপর, তাহলে কি ২০২৬ সালে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতায় আসেনি।
সমাবেশে অংশ নেওয়া আট দল হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
১০৫ বার পড়া হয়েছে