সর্বশেষ

অর্থনীতি

টানা ছয় দিনে দরপতন, আগের অবস্থানে ডিএসই সূচক

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:৫২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টানা ষষ্ঠ কার্যদিবসেও পতনের মুখে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসজুড়ে দর হারানোর পর বৃহস্পতিবার লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল।

তবে সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার সেই ধারা ভেঙে আবারও বড় দরপতনের মুখে পড়ে বাজার।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮৯৯ পয়েন্টে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগের স্তরে নেমে এসেছে।

মোট ৩৬০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ৩৫১টির লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩০১টির দর কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৩৩টির, অপরিবর্তিত থেকেছে ১৭টির। একই ধারা দেখা গেছে মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও—৩৭টি মেয়াদি ফান্ডের মধ্যে একটিরও দর বাড়েনি, বরং ২৫টির দর কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা, নতুন মার্জিন বিধিমালা এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ–এই তিন ইস্যু বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বড় ধাক্কা দিয়েছে।

ডিএসই ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মার্জিন বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে একটির সমাধান এলেও ব্যাংক একীভূতকরণ বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কে ফেলেছে। তারা আশঙ্কা করছেন, কেবল এই পাঁচ ব্যাংকই নয়, আরও কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও একীভূত বা অবসায়নের পথে যেতে পারে। এতে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছে এবং সূচক আরও নিচে নামছে।’

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বড় বিনিয়োগকারীরা আপাতত ‘হাত গুটিয়ে’ রেখেছেন। এতে বাজারে নতুন অর্থপ্রবাহ কমে যাচ্ছে এবং ক্রয়চাহিদা দুর্বল হচ্ছে, যা পতনকে আরও ত্বরান্বিত করছে।

লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনটির শুরুতে বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর ১১ মিনিটের মধ্যেই সূচক বেড়ে ৫০০১ পয়েন্টে পৌঁছে যায়। তবে শেষ ঘণ্টায় ব্যাপক বিক্রিচাপে সূচকটি ১০২ পয়েন্ট পড়ে ৪৮৯৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাতের পতনেই সূচক ৩৭ পয়েন্ট নিচে নেমেছে। এককভাবে ব্যাংক খাত সূচক হারিয়েছে ২২ পয়েন্ট, বীমা খাতের প্রভাব ১২ পয়েন্টের মতো। একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত থাকায় তাদের প্রভাব সূচকে পড়েনি।

দরপতনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে ছিল কাগজ ও ছাপাখানা, যার গড় দর কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে সিরামিক খাত, যেখানে দর কমেছে গড়ে ৫ শতাংশের বেশি। বড় খাতগুলোর মধ্যে বীমা খাতে ৫৮টি কোম্পানির গড় দর কমেছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

লেনদেনের পরিমাণেও দেখা গেছে মন্থরতা। আগের দিনের তুলনায় ১৭ কোটি টাকা কমে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৪০২ কোটি টাকায়। খাতভিত্তিক হিসাবে প্রকৌশল খাতে সর্বাধিক- প্রায় ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশের বেশি। একক কোম্পানি হিসেবে সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টে- ২৭ কোটি টাকার শেয়ার।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন