একদমই না, কোথায় বলেছি, কবে বলেছি, প্রমাণ কোথায়? : মঞ্জুরুল
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার জাহানারা আলম।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা দাবি করেন, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মঞ্জুরুল নারী দলের ক্রিকেটারদের প্রতি অনুপযুক্ত আচরণ করতেন এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলতেন।
জাহানারার অভিযোগ, মঞ্জুরুল প্রায়ই খেলোয়াড়দের ‘উৎসাহ দেওয়ার’ নামে শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন, কখনো আলিঙ্গন করতেন বা বুকে টেনে ধরতেন। তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী-কে লিখিতভাবে অবহিত করেছিলেন, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শুধু মঞ্জুরুলই নন, জাহানারা অভিযোগ করেছেন- দলের ভেতর আরও কিছু ব্যক্তি মিলে তাঁর ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ২০২১ সাল থেকে পরবর্তী দেড় বছর পর্যন্ত তিনি নানা অন্যায়ের শিকার হয়েছেন বলেও জানান।
অভিযোগের বিষয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, জাহানারার উত্থাপিত সব অভিযোগ 'ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।' তিনি দাবি করেন, নারী দলের ম্যানেজার হিসেবে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য ফিজিওর কাছ থেকেই পেতেন, কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে এসব বিষয়ে কখনো প্রশ্ন করেননি।
মঞ্জুরুল বলেন, একদমই না। কোথায় বলেছি, কবে বলেছি? এটার প্রমাণ কোথায়? অন্য সতীর্থদের তো জানা থাকার কথা, তারা বলুক।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রীয় বা বিসিবির যেকোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত।
আমি যেকোনো সময় বাংলাদেশে এসে তদন্ত কমিটির সামনে বসতে প্রস্তুত আছি, - বলেন তিনি।
২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে জাতীয় দলের হয়ে ১৭টি টেস্ট ও ৩৪টি ওয়ানডে খেলা মঞ্জুরুল ইসলাম অবসরের পর বিসিবির অধীনে বিভিন্ন পর্যায়ে কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি নারী দলের নির্বাচক ও একাধিক সিরিজে ম্যানেজার ছিলেন। বর্তমানে তিনি চীনের নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
অভিযোগ কেন উঠল- এমন প্রশ্নে মঞ্জুরুল বলেন, আমি নিয়মশৃঙ্খলার ব্যাপারে কঠোর ছিলাম। বাইরের খাবার খেতে নিষেধ করতাম, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের জন্যই। যদি এটা খারাপ কাজ হয়, তবে শাস্তি পেতে আমার আপত্তি নেই।
১৩১ বার পড়া হয়েছে