শুল্কমুক্তভাবে কতটুকু সোনা আনা যাবে বিদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমানো হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এদিকে, গত বছরে সোনার দাম বাড়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি, বৈধ পথে আমদানির ঘাটতি এবং টাকার মান হ্রাস—সব মিলিয়ে স্থানীয় বাজারে প্রভাব পড়েছে। ফলে বিশ্ববাজারের তুলনায় ভরিপ্রতি কয়েক হাজার টাকা বেশি দামে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
শুল্কমুক্তভাবে কতটুকু সোনা আনা যাবে
চলতি অর্থবছরে অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী বিদেশফেরত যাত্রীরা বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম (প্রায় ৮ ভরি ১০ আনা) সোনার অলংকার শুল্কমুক্তভাবে দেশে আনতে পারবেন। পাশাপাশি রুপার অলংকার আনা যাবে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত।
তবে সোনা বা রুপা—যে ধরনের গয়নাই হোক না কেন, একই ধরনের অলংকার ১২ পিসের বেশি আনা যাবে না।
সোনার বার আনলে শুল্ক দিতে হবে
নতুন নিয়মে একজন যাত্রী বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি তোলায় ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে।
ব্যাগেজ ঘোষণা ও কর প্রক্রিয়া
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে নামার সময় যাত্রীদের ‘ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম’ পূরণ করতে হয়। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি শুল্কযোগ্য পণ্যের বিবরণ দিতে হয়। তবে ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকারের কম থাকলে এ ফরম পূরণের প্রয়োজন নেই। যাত্রীর কাছে শুল্কমুক্ত পণ্য থাকলে তিনি সরাসরি গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবেন।
১১১ বার পড়া হয়েছে