মিরপুরে পরাজয় ভুলে জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে সমানভাবে ভুগছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ - দুই দলই যেন হাঁটছে অজানা এক গন্তব্যের দিকে।
হারের বৃত্তে বন্দি হয়ে পড়েছে দুপক্ষই। তাই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (১৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দুই দলের জন্যই যেন এক নতুন শুরুর সুযোগ।
বাংলাদেশ দলের অবস্থা রীতিমতো নাজুক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর আশা জাগলেও, ওয়ানডে সিরিজে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচেই অলআউট হয়ে পড়ে ৩০ ওভারেরও কম সময়ে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজে হার এবং সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়—চিত্রটা বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশ দল চরম খারাপ সময় পার করছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চিত্রটাও কম ভঙ্গুর নয়। আরব আমিরাতে নেপালের মতো তুলনামূলক নবীন দলের কাছেও হেরেছে ক্যারিবীয়রা। তার আগে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছেও বাজেভাবে সিরিজ হার। আর মূল দল ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে।
এই সিরিজ শুধুই জয়-পরাজয়ের গল্প নয়। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের পয়েন্ট অর্জনের দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সামনের ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথ তৈরি হতে পারে এখান থেকেই। যে দল সিরিজ জিতবে, তারাই এগিয়ে থাকবে কোয়ালিফিকেশনের দৌড়ে।
দুই দলেরই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ব্যাটিং। বাংলাদেশের ওপেনিং নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, যার কারণে তানজিদ তামিমকে একাদশের বাইরে যেতে হতে পারে। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান প্রায় নিশ্চিত হলেও, তার এখনো বড় ইনিংসে চোখ রাখতেই হবে। টপ অর্ডারে শান্তর অফ-ফর্ম, হৃদয়-জাকের-সোহানদের ব্যর্থতা এবং অধিনায়ক মিরাজের ধীরগতির ব্যাটিং মিলিয়ে ব্যাটিং অর্ডার অনিশ্চয়তায় ভরা।
তবে নতুন মুখ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের অন্তর্ভুক্তি কিছুটা আশার আলো। আর বিকল্প হিসেবে আছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
বোলিংই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। রিশাদ হোসেন ও তানভির ইসলাম স্পিন বিভাগে ধারাবাহিক। বিশেষ করে তানভির আফগানিস্তান সিরিজে নিজের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছেন। পেসারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাও রয়েছেন ছন্দে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের শক্তি তাদের স্পিন অ্যাটাক। গুদাকেশ মতি ও রস্টোন চেজ সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে ভালো করছেন। ব্যাটিংয়ে শাই হোপ ও চেজ বাংলাদেশের কন্ডিশনে অভিজ্ঞ, ব্রেন্ডন কিং, কেসি কার্টি ও আলিক আথানাজের মতো তরুণরাও দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। বিশেষ করে কার্টি তিন নম্বরে গড় ৫০-এর ওপর, যার মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে সেঞ্চুরি।
পেসারদের মধ্যে নজরে থাকবেন জাইডেন সিলস, যিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন।
সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ:
সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নজমুল হোসেন শান্ত, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা, তানভির ইসলাম, হাসান মাহমুদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
ব্রেন্ডন কিং, আলিক আথানাজে, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শেরফানে রাদারফোর্ড, রস্টোন চেজ, গুদাকেশ মতি, জাস্টিন গ্রিভস, রোমারিও শেফার্ড, শামার জোসেফ, জাইডেন সিলস।
১২১ বার পড়া হয়েছে