টনি ব্লেয়ারকে গাজার অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতির পর এক অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাবনায় যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লিয়ার নাম উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও দ্য ইকোনোমিস্ট শুক্রবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রস্তাবিত এই উপস্থাপিত কাঠামোর নাম রাখা হবে ‘গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশনাল অথরিটি’ (গিটা)। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে—জাতিসংঘ ও তার অংশীদারদের সমর্থন নিয়ে গিটা গাজার জন্য পাঁচ বছরের একটি অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক ও আইনি কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। এই কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের ম্যান্ডেট চাইবে এবং ধাপে ধাপে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরায় শাসনভার ফিরিয়ে দেবে।
গিটা পরিচালনায় পূর্ব তিমুর ও কসোভোর আন্তর্জাতিক প্রশাসনের অভিজ্ঞতা অনুসরণ করার কথাও রয়েছে। পরিকল্পনায় প্রথমে গাজার অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষকে অস্থায়ী অবস্থানে রাখা হবে—সম্ভবত মিশরে, গাজার দক্ষিণ সীমান্তের কাছে—তবেই নিরাপত্তার পর্যাপ্ততা নিশ্চিত হলে তাদের গাজার ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হবে। একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, টনি ব্লেয়ার এই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্লেয়ারের অফিস বলেছে, তিনি এমন কোনো পদক্ষেপের সমর্থন করবেন না যা গাজার জনগণকে বাস্তুচ্যুত করে। তবে স্মরণযোগ্য—২০০৩ সালে ইরাক অভিযানে যুক্ত থাকার কারণে ব্লেয়ারের নাম বিতর্ক থেকেও মুক্ত নয়।
পররাষ্ট্রনীতিতে অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০০৭ সাল থেকে ব্লেয়ার মার্কিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও জাতিসংঘের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যে দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি পূর্বেও ফিলিস্তিনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পরিবেশ গঠন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েল অধিগ্রস্ত ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছেন যে তিনি দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আব্বাস জোর দিয়েছেন, ভবিষ্যতে গাজার শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং গোষ্ঠীটিকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে।
১৪৮ বার পড়া হয়েছে