গাজা বিষয়ে জাতিসংঘে ভোট বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপবৃদ্ধি

বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে নতুন একটি প্রস্তাব নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ববর্তী প্রস্তাবগুলোতে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর মুখে পড়লেও এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
গত আগস্টের শেষদিকে নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তখন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে গাজা এখন দুর্ভিক্ষের মুখে।
প্রথম দিকের খসড়ায় কেবল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দূর করার বিষয়টি ছিল। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেটো এড়াতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়া পরামর্শ দেয় আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার।
এ কারণে নতুন খসড়ায় গাজায় ‘অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে, এবং জিম্মিদের অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের একাধিক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল। সর্বশেষ জুন মাসে তারা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে একটি প্রস্তাব নাকচ করে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, এই প্রস্তাবটি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো হুমকিকে উপেক্ষা করার একটি বার্তা বহন করে। তিনি বলেন,
"আমরা যদি একেবারেই কোনো চেষ্টা না করি, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো জবাবদিহিতাই থাকবে না। এতে তারা ১৪টি রাষ্ট্র ও পুরো বিশ্ব সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হবে।"
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবটি গাজার মানুষের দুঃখ-কষ্ট হয়তো অবিলম্বে কমাতে পারবে না, তবে অন্তত দেখানো যাবে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরব নয়।
গতবারের ভেটো নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪ সদস্যের মধ্যে বিরল ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। সদস্য রাষ্ট্রগুলো এখন প্রকাশ্যেই বলছে, ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নিরাপত্তা পরিষদ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিযুক্ত একটি আন্তর্জাতিক স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন তাদের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। তাতে অভিযোগ আনা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার চেষ্টা করছে।
এই ইস্যুটি আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে