সর্বশেষ

রাজনীতি

রাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু  

রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী প্রতিনিধি

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তালিকা প্রকাশের পরপরই প্রার্থীরা শুরু করেন আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। তবে প্রথম দিনেই বৃষ্টির কারণে প্রচারণায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রার্থীদের।

এর আগে দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয়।

নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে ব্যালট নম্বর বরাদ্দের নিয়মে। শনিবার রাতে এক জরুরি সভায় নির্বাচন কমিশন নতুন নীতিমালা অনুযায়ী রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর লটারির মাধ্যমে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত কয়েকটি প্যানেলের ভিপি প্রার্থীরা ব্যালট বরাদ্দের আগের নিয়ম নিয়ে আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়। পরে রাতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘদিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এবারের নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী।

রাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মোট ২৪৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ জন এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন। পাশাপাশি, সিনেট সদস্য পদের জন্য লড়ছেন ৫৮ জন এবং হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন প্রায় ৬০০ জন।

এদিকে ব্যতিক্রমধর্মী একটি আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে ‘ইউনাইটেড ফর রাকসু’। এই প্যানেল ভিপি, জিএস বা এজিএস—কোনো শীর্ষপদে প্রার্থী দেয়নি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাবি পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি ঘোষণা করে তারা। এতে ২০২০-২১ ও ২০২২-২৩ সেশনের মিলিত প্রার্থীরা রয়েছেন। প্যানেলের সদস্যরা জানান, তারা ভিপি-জিএস পদের যোগ্য কাউকে না পাওয়ায় এসব পদে কাউকে মনোনয়ন দেননি।

সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী শাহরিয়ার মোর্শেদ খান বলেন, "আমাদের প্যানেল গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কার্যকরভাবে কাজ করাই মুখ্য।"

নির্বাচনে ভোট গণনা করা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ নিয়ে ছাত্রদলসহ দুটি প্যানেল ম্যানুয়াল ভোট গণনার দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয়।

ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেন, “ওএমআর পদ্ধতি ইভিএমের মতোই অনির্ভরযোগ্য। আমরা চাই স্বচ্ছ ভোটবাক্স ও ম্যানুয়াল গণনা পদ্ধতি।”

এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার ৯০৫ জন। হাতে গণনা করলে ফলাফল পেতে কয়েক দিন লেগে যাবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। সেজন্যই ওএমআর পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ও গণনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন