৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর ক্যাম্পাস, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
৩৩ বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন ঘিরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে, ক্যাম্পাসে জমে উঠেছে পোস্টার, প্রচারণা আর শ্লোগানের উচ্ছ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ৯ জন এবং জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে পূর্বের ১৪টি পদের জায়গায় এখন কেন্দ্রীয় সংসদে রয়েছে মোট ২৫টি পদ। এর মধ্যে ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৬টি পদ, যা নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
হল সংসদ নির্বাচনেও ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা গেছে; সেখানে ৪৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনই এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে।
ভোট গণনায় ব্যবহৃত হবে বিশেষ প্রযুক্তি-ভিত্তিক OMR (Optical Mark Recognition) মেশিন, যার মাধ্যমে ফলাফল দ্রুত গণনা করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হবে ফলাফল, পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফলাফলের হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুক পেজেও ফলাফল ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর এই নির্বাচন নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। তারা আশা করছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরও সুদৃঢ় হবে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে