সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

১৪৭ দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার পরও কেন পূর্ণ রাষ্ট্র নয় ফিলিস্তিন?

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ৫:১৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওসলো চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়ার যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা বহু মানুষের কাছে স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন জাগিয়েছিল।

ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ওই সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন, যেখানে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ ছিল।

কিন্তু সেই আশার মৃত্যু ঘটে চুক্তির কয়েক বছরের মধ্যেই। ১৯৯৫ সালে চরমপন্থীদের হাতে নিহত হন রবিন। ২০০৪ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় আরাফাতের। পরে তাঁর স্ত্রী সোহা আরাফাত দাবি করেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই দুই নেতার অকালপ্রয়াণ শান্তি প্রক্রিয়াকে কার্যত স্তব্ধ করে দেয়।

এরপর থেকে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের দমন-পীড়ন বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত থাকে। ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের যে মানচিত্র প্রস্তাব করেছিল, তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাড়লেও স্বাধীনতা অধরাই
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ নিজেও ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তবে এত স্বীকৃতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিন এখনও স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি। কারণ, বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী কিছু শক্তিধর দেশ এখনো ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে অনাগ্রহী।

গাজায় সহিংসতা বদলে দিচ্ছে বৈশ্বিক সমীকরণ
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক গাজা অভিযান, যা অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করছে, তাতে বিশ্বের অনেক দেশের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। ইসরায়েল-পন্থি হিসেবে পরিচিত কিছু পশ্চিমা দেশের মধ্যেও জন্ম নিচ্ছে অসন্তোষ। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

নিউজিল্যান্ডও জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তাদের মন্ত্রিসভা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

যুক্তরাষ্ট্র এখনো ফিলিস্তিন স্বীকৃতির পথে অনড়
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স—এর মধ্যে চীন ও রাশিয়া অনেক আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও ইতোমধ্যে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। এখন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই ফিলিস্তিন স্বীকৃতির প্রশ্নে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে রয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অনমনীয় অবস্থানই মূলত ফিলিস্তিনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা অর্জনে সবচেয়ে বড় বাধা।

১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন