পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত আনিসা

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫ ৭:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না আনিসা আহমেদ।
২৬ জুন, পরীক্ষার প্রথম দিন, আনিসা ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এক ঘণ্টা বিলম্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান। সেই সময় তাঁর কান্নাজড়িত একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, আনিসার মা স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং তার জন্য আনিসা সময়মতো পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেননি।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধূরী রফিকুল আবরার আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আনিসার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তরফ থেকে জানা গেছে, আনিসার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এর সম্ভাবনা নেই।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির সমকালের কাছে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সামাজিক মাধ্যমে যা প্রকাশ পেয়েছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা বোর্ড দুটি পৃথক টিম গঠন করে তদন্ত চালায় এবং মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে আনিসার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আনিসার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে ৬৬ নম্বর পেলে ওই বিষয়ে পাশ করা যাবে।
২৬ জুন কেন্দ্রের বাইরে আনিসাকে কাঁদতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে জানা যায়, আনিসার বাবা নেই, মা স্ট্রোক করলে দায়িত্ব পুরোপুরি তার ওপর পড়ে। মায়ের হাসপাতালে নেওয়ার কারণে পরীক্ষায় দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি।
এইচএসসির এখনো উচ্চতর গণিত, রসায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) এই তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে। প্রায় ১২ লাখ ৫০০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ হাজার ৩৯১ জন কোনো পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, এই তিনটি বিষয়ের প্রশ্ন ছিল বেশ কঠিন, এবং ফলাফল নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
শিক্ষা বোর্ড জানায়, মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে। কোনো গ্রেস নম্বর দেওয়া হবে না, এবং সহানুভূতিস্বরূপ নম্বর বরাদ্দ করা হবে না।
১২৩ বার পড়া হয়েছে