সর্বশেষ

আইন-আদালত

'ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স' রিভিউ মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৭ আগস্ট, ২০২৫ ৬:০৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের মর্যাদাক্রম নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলায় আপিল বিভাগের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের রায় আজ (বৃহস্পতিবার) ঘোষণার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর মা ইন্তেকাল করায় তিনি ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণায় এই বিলম্ব ঘটেছে।

মামলার রায় দেওয়ার দায়িত্ব ছিল বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর ওপর। এর আগে ৬ আগস্ট (বুধবার) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ ৭ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছিল।

রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয় গত ৩০ জুলাই। এরপর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ প্রথমে ৬ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। পরে তা এক দিন পিছিয়ে ৭ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।

রিভিউ আবেদনে কে কী বলেছিলেন
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। অপরদিকে, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম এবং ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম। এ ছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

মামলার পেছনের প্রেক্ষাপট
১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে ‘রুলস অব বিজনেস’-এর আওতায় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (পদমর্যাদাক্রম) তৈরি করে। তবে এতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশাসন ক্যাডারের নিচে রাখা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে বাতিল ঘোষণা করে এবং আট দফা নির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের কিছু অংশ সংশোধন করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়।

আপিল বিভাগের তিন নির্দেশনা
১. সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন—তাই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বিরোধ দেখা দিলে সাংবিধানিক পদাধিকারীরাই অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জেলা ও সমমানের জজগণ সরকারে সচিবদের সমমর্যাদার (১৬ নম্বর ক্রমিক)।
৩. অতিরিক্ত সচিবরা থাকবেন পরবর্তী ক্রমিকে (১৭ নম্বর)।

এই আপিল রায়ের বিরুদ্ধেই রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও এতে পক্ষভুক্ত হন।

পরবর্তী রায় ঘোষণার তারিখ এখনও অনিশ্চিত
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত রায়ের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন