সর্বশেষ

ফেবু লিখন

আজ ৫ই আগস্ট!!! ফ‍্যাসিস্ট মুক্ত হতে পারিনি

রেজাউল করিম
রেজাউল করিম

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
এক বছর পূর্ণ হলো কিন্তু এখনই আমরা পারিনি ফ‍্যাসিস্ট মুক্ত হতে… কিভাবে পারবো বলেন? আমরা চোরের ভয়ে যাদের দিয়ে পাহারা বসিয়েছি তারা নিজেরাই যেখানে ধান খায় সেখানে কি আদৌ কোনো ফায়দা হবে? আসুন একটু কাহিনী জানি…

আফিজ নামা—২
বাংলাদেশের ফ‍্যাসিস্টরা তিন ভাবে বিভক্ত—-একদল বিএনপি’র সাথে জামায়াত ও এনসিপি বিরোধী সেজে ঢুকে পড়েছে, আরেক দল জামায়াতের মিত্র সেজে বিএনপি ও এনসিপি’র (NCP) বিরোধী হিসেবে ঢুকে পড়েছে, বাকীরা জামায়াত ও বিএনপি বিরোধী সেজে এনসিপি’র সাথে ঢুকে পড়েছে এবং তাদের মধ‍্যে অন‍্যতম হলো এই ‘আফিজ’।


নাফিজ সরাফাত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর ওই বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন আরাফাত। আফিজ ওই ইউনিভার্সিটির প্রধান সমন্বয়ক, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিশন, মার্কেটিং ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে চাকরি নেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন নাফিজ সরাফাতের পত্রিকা দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক।


যাইহোক, জবের পাশাপাশি শখ বশত দীর্ঘদিন ধরেই আমি পার্ট টাইম শিক্ষকতায় জড়িত। আমি মোট ৬/৭ টি বিষয়ে ৪/৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি এবং তারই অংশ হিসেবে যখন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে দুটো কোর্স (MBA) নিয়ে যুক্ত ছিলাম তখন এই আফিজ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম‍্যামেজমেন্ট বুঝানোর চেষ্টা করতো যে —‘মেজর রেজা সরকারের বিরুদ্ধে টকশোতে কথা বলে, সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করে তাই তাকে এখান থেকে বের করে দেন। তিনি এখানে থাকলে আপনাদের সমস‍্যা হবে।’


অথচ সামনাসামনি বা কথা হলে এই আফিজ আমার প্রতি মারাত্মক সম্মান দেখিয়ে বলতো—‘স‍্যার আপনি সুন্দর কথা বলেন, সত্যি কথা বলেন—আপনি দেশের গর্ব!’—— ভাবুন সে কত বড় হিপোক্রেট। 

আসুন জানি আফিজের অবস্থান, আমল নামা ও কৃতকর্মগুলো কি ছিলঃ
— আফিজ শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সরকারি চাপের মূল হোতাদের একজন এই আফিজ।
— হাসিনা আমলে, এই আফিজ ডিজিএফআইয়ের অফিসে চা খাওয়ানোর নামে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বসিয়ে রাখতেন। যে সকল সাংবাদিক ভুক্তভোগী তারা সবাই তা জানেন এবং তারা সবাই আফিজকে চেনেন ।
— কোন এক সাংবাদিকের ভাষ‍্যমতে, “আফিজ ডিজিএফআইয়ে পক্ষ থেকে এসব যোগাযোগ করত। ডিজিএফআইয়ের রেফারেন্স দিয়ে নিউজ সেন্সর করা, চাপ দেওয়া–এসব করত। আফিজই এসব কোঅর্ডিনেট করতো। শুধু আমার না, প্রায় প্রত্যেকটা মিডিয়ায় এসব করত।”
— এশিয়ান এজের সম্পাদক শোয়েব চৌধুরীকে ২০১৯ সালে ডিজিএফআই কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলেন এবং শাসিয়ে ছিলেন কারন তিনি তার পত্রিকায় আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যাংক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাত ও নজরুল ইসলাম মজুমদারকে নিয়ে লিখেছেন।
— তিনি ১১ বছর ডিজিএফআইতেই চাকুরি করেছেন; রাষ্ট্রকে নয়, সার্ভ করে গেছেন নাফিজ সরাফাতদের। অবসরের পরও আনুষ্ঠানিকভাবে হয়েছিলেন নাফিজ সরাফাতের কর্মচারী।
— আফিজুর রহমান সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোরের একজন মেজর ছিলেন। বিস্ময়করভাবে প্রায় ১১ বছর তার কাজের জায়গা ছিল প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিজিএফআই।
— সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিনি নাফিজ সরাফাতের পত্রিকা দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। এখন তিনি গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চিফ অপারেটিং অফিসার।
এখানেই শেষ নয়… সেই আফিজ আজ আরো বেশি শক্তিশালী…

শেখ হাসিনার ফ‍্যাসিজমের অন‍্যতম হাতিয়ার মেজর আফিজ আজ কতটা শক্তিশালী হলে জনকন্ঠ তার দখল করতে পারে? যে আফিজ আজ জেলে থাকার কথা অথবা ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার কথা সে আজ উল্টা একটা পত্রিকা দখল করে বসে আছে???

(বিডিনিউজ ২৪ এর রিপোর্ট পড়ুন…)


কর্মীদের একটি অংশের পাল্টা সম্পাদকীয় বোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠ দখলের অভিযোগের মধ্যে সামনে এসেছে একটি নাম, যে নাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাংবাদিক মহলে নানা কারণে আলোচনায় ছিল।


সেই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমে হস্তক্ষেপ, সাংবাদিকদের ডিজিএফআই কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ‘হয়রানি ও চাপ প্রয়োগ’, কোনো প্রতিবেদন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেলে ‘হুমকি-ধামকি দেওয়া’, এমনকি সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়ার মত বহু অভিযোগ সে সময় ওঠে।


বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ পাঁচ বছর বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আফিজ।
জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খানের অভিযোগ, গত শনিবার ‘ষড়যন্ত্র করে মব সৃষ্টি করে’ দখল করা হয়েছে জনকণ্ঠ ভবন। আর এর পেছনের ‘মূল ব্যক্তি’ হলেন আফিজুর রহমান।


জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত অতিকুল্লাহ খান মাসুদের স্ত্রী শামীমা বলছেন, আফিজই পুরনোদের বাদ দিয়ে পত্রিকায় নতুন লোকজন এনেছেন এবং তারা ‘ষড়যন্ত্র করে পত্রিকা দখল’ করেছেন।
ওই অভিযোগ আফিজ অস্বীকার করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, এসব সম্পাদকের ‘মিথ্যাচার। এর সাথে ‘কোনভাবেই সম্পৃক্ত নন’।
আর অতীতের অভিযোগ নিয়ে তার ভাষ্য, তিনি নিজে থেকে কিছু করেননি, সরকারি চাকুরে হিসেবে ‘দায়িত্ব পালন’ করেছেন।
কী ধরনের সরকারি দায়িত্ব আফিজ পালন করতেন?

জনকণ্ঠ কাণ্ডের পর এক এক্স পোস্টে আফিজের মাধ্যমে ‘হেনস্তার শিকার হওয়ার’ অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বাংলা আউটলুকের সাংবাদিক মুক্তাদীর রশীদ রোমিও।
তিনি লিখেছেন, “শেখ হাসিনার আমলে মেজর আফিজ ডিজিএফআইতে থাকার সময় আমাকে বারংবার জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হেনস্তার প্রধান সমন্বয়ক। সব অফিসে আমাকে ব্লক করার জন্য সেই নির্দেশনা দিত। তাকে সাথে নিয়ে NCP নেতা শিশির জনকন্ঠ পত্রিকা দখল নিয়েছে।”


আফিজ যখন ডিজিএফআইয়ে দায়িত্বরত, তখন থেকেই পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনার বিষয় ছিল।
নাফিজ সরাফাতের ‘স্বার্থ রক্ষার’ জন্য সাংবাদিকদের ফোন করে হুমকি দেওয়া এবং ডিজিএফআই কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হেনস্তা করার বহু অভিযোগ সেসময় ওঠে। কিন্তু বোধগম্য কারণেই সে সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলতে পারেননি।


ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে কোনো কোনো প্রার্থীকে ‘বসিয়ে’ দিতে চাপ প্রয়োগ এবং কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে ‘প্রভাব খাটানোর’ অভিযোগও সে সময় ওঠে।
ইত্তেফাকের সাংবাদিক সাইদুর রহমান এক ফেইসবুক পোস্টে শেখ হাসিনার সঙ্গে আফিজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “বিগত আওয়ামী লীগের আমলে তিনি দৈনিক বাংলা, নিউজবাংলা২৪-এর নির্বাহী ভূমিকা পালন করছেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমন্বয়কারী হিসেবেও কর্মরত। গোপালগঞ্জের পৈতৃক বাড়ির অধিবাসী ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মেজর (অব.) আফিজুর রহমান।


“তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), জাতীয় প্রেস ক্লাব নির্বাচনে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপকারী। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে সকাল-বিকাল প্রার্থীদের হয়রানী করতেন। রাতে তার অনুসারি সাংবাদিকদের নিয়ে করতেন বিশেষ পার্টি। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন এই আফিজের নেতৃত্বে বর্তমানে জনকন্ঠ সংস্কার কার্যক্রম চলিতেছে।


নানা অভিযোগের মধ্যে আফিজকে একবার ডিজিএফআই থেকে সরানো হলেও পরে তাকে ফের ওই গোয়েন্দা সংস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। অভিযোগ আছে, এর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের এক মন্ত্রীর তদবির ছিল। পরে সেখান থেকেই অবসরে যান আফিজ।


সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নাফিজ সরাফাতের কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন সাবেক মেজর আফিজ।

গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য ছিল আফিজের, এমনকি খোদ শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছবিও পত্রিকায় এসেছে।


২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে এবং পরে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের আগে আগে জুলাই মাসে সম্পাদকদের একটি অংশের সঙ্গে যে দুটি বৈঠক শেখ হাসিনা করেছিলেন, সেখানেও আফিজ উপস্থিত ছিলেন।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পিএইচডি গবেষণাও শুরু করেছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আফিজ। বিষয়টি নিয়ে সে সময় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এমনকি ‘বঙ্গবন্ধু গবেষক’ হিসেবে তিনি বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাও করেছেন।


বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেই গবেষণা শেষ হয়েছিল কি না জানতে চাইলে আফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পিএইচডি গবেষণার একটি অংশ শেষ হয়েছিল। নানা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি।”
সেই আফিজের বিরুদ্ধে ‘জনকণ্ঠ দখলে’ ভূমিকা রাখার অভিযোগ ওঠায় ফেইসবুকে হতাশা প্রকাশ করেছেন হামজা রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী, যিনি সরকার পতনের পর লন্ডনে চলে গেছেন।


আফিজ অবশ্য দাবি করছেন, সেনাবাহিনীর চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি যা করেছেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশেই’ করেছেন। তার কাজ ছিল শুধু ‘সমন্বয়’ করা।


অভিযোগের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি ডিজিএফআইতে চাকরি করেছি, ওটা আমার সরকারি চাকরি ছিল, পোস্টের জায়গা ছিল ডিজিএফআই। মেজর র‌্যাংকের একটা অফিসার, আমার জন্য নির্ধারিত যে কাজ ছিল সেই কাজটি আমি করার চেষ্টা করেছি। পাবলিক রিলেশন, মিডিয়াতে, যতটুকু সম্ভব প্রফেশনাল থেকে।”


সে সময় সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করে আফিজ বলেন, “ডিজিএফআইতে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর চাকরির সুবাদের বরং সাংবাদিকদের সাথে আমার একটা সুসম্পর্ক হয়েছে এবং এটা এখনো আছে।”
তিনি দাবি করেন, ডিআরইউর নির্বাচনের প্রভাব বিস্তার ‘কখনোই হয়নি’।


“প্রার্থিতা নিয়ে যে কথা উঠেছে, সেটা শুধু অথরিটির নির্দেশে সমন্বয় করার দায়িত্ব ছিল আমার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হেলাল স্যারও (প্রয়াত ইহসানুল করিম) এটাতে যুক্ত ছিলেন।”


অবশ্য আফিজ এবং ইহসানুল করিম দুজনকেই চিনতেন-এমন একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের ভাষ্য হল, ডিজিএফআই যেভাবে মিডিয়ায় ‘সামলাত’, সেটা ‘পছন্দ ছিল না’ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের। সে কারণে আফিজ প্রায়ই ‘অসন্মানজনক ভাষায়’ ইহসানুল করিমের সমালোচনা করতেন।


দুর্নীতির অভিযোগে একবার ডিজিএফআই থেকে সরানোর এবং তদবিরে ফেরানোর বিষয়টি অস্বীকার করে আফিজ বলছেন, ওই সংস্থায় ১১ বছর দায়িত্ব পালনের মাঝে একবার তাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে পাঠানো হয়েছিল। ফেরার পর তাকে আগের জায়গাতেই পোস্টিং দেওয়া হয়। পরে তিনি ‘স্বেচ্ছা অবসরে’ যান।


নাফিজ সরাফাত বা তার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই বলেও তিনি দাবি করেন।


শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবির বিষয়ে আফিজের ভাষ্য, “মিডিয়া ট্রায়াল যেটা হয়, বিশেষ করে সোশাল মিডিয়া ট্রায়াল যেটা হয়, মূল জিনিস না জেনে ভেরিফাই না করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি দিয়ে… এটা প্রফেশনাল নয়।”
‘যাচাই না করেই’ এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে দাবি করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “মিস কমিউনিকেশন হচ্ছে। না জেনেই অনেকে অনেক কিছু বলছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্লিয়ার হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”


জনকণ্ঠের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে আফিজ বলেন, গত সপ্তাহে তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ফলে গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে ঢাকায় আনা, হাসপাতালে ছোটাছুটি–এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি সেদিকে ‘নজর দিতে পারেননি’।
তবে এক পর্যায়ে জনকণ্ঠের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সম্পাদকের ছোট ছেলেকে দায়ী করে আফিজ বলেন, সাতজনের চাকরি চলে যাওয়ার কারণে ‘মূল সমস্যা’ তৈরি হয়।


“এটা সম্পাদকের মিথ্যাচার। এর সাথে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। শনিবার ছুটি, রোববার থেকে অফিসে যাচ্ছি না। অফিসের গাড়ি ব্যবহার করছি না আর। চাকরি ছেড়ে দেব।”

(লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে)

লেখক: গবেষক ও বিশ্লেষক

১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
ফেবু লিখন নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন