রাশিয়ার হুমকিতে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ ৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন,
তিনি ‘উপযুক্ত একটি অঞ্চলে’ দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “মেদভেদেভের বক্তব্য এতটাই উস্কানিমূলক ছিল যে, আমি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। কথার গুরুত্ব অনেক— কারণ এগুলোই অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ের সূচনা ঘটাতে পারে।”
তবে সাবমেরিন দুটি কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে, কিংবা সেগুলো কেবল পারমাণবিক শক্তিচালিত, নাকি পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত— এ বিষয়ে ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি।
আলটিমেটাম ও পাল্টা হুঁশিয়ারি
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্প যে যুদ্ধবিরতির আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, তার জবাবে সম্প্রতি একাধিক হুঁশিয়ারিমূলক মন্তব্য করেন মেদভেদেভ। জবাবে ট্রাম্প তাঁকে ‘রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট’ বলেও উল্লেখ করেন এবং সতর্ক করেন, “নিজেকে এখনো প্রেসিডেন্ট ভাবা মেদভেদেভ বিপজ্জনক সীমার দিকে এগোচ্ছেন।”
মেদভেদেভের প্রতিক্রিয়া: ‘ডেড হ্যান্ড’ স্মরণ
ট্রাম্পের সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ বলেন, “ট্রাম্প যেন 'দ্য ওয়াকিং ডেড' সিরিজের কথা মনে রাখেন এবং ভুলে না যান সোভিয়েত আমলের ‘ডেড হ্যান্ড’ কী ছিল।”
‘ডেড হ্যান্ড’ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি গোপন পারমাণবিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের প্রথম হামলার পরও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম ছিল বলে ধারণা করা হয়। যদিও সোভিয়েত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব স্বীকার করেনি, তবে রুশ কর্মকর্তাদের মতে, এটি এখনো রাশিয়ার হাতে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাব
সাবেক এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মাঝে চলমান বাকযুদ্ধ এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নেই। ‘পারমাণবিক সাবমেরিন’ এবং ‘ডেড হ্যান্ড’-এর মতো স্পর্শকাতর ইস্যু আলোচনায় আসায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অঙ্গনেও এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি যদি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আরও এগোয়, তবে তা বাস্তব সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।
১০৭ বার পড়া হয়েছে