আন্তর্জাতিক

রাশিয়ায় সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার, ঘরে ফিরছে মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাশিয়ার কামচাতকা উপদ্বীপের কাছে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সতর্কতা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

৮ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি কামচাতকা অঞ্চলে ১৯৫২ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা। ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় চার মিটার (১২ ফুট) পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

জাপান থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ইকুয়েডর, চিলিসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এক ডজনেরও বেশি দেশ সতর্কবার্তা জারি করে। নিরাপত্তার স্বার্থে জাপানে প্রায় ২০ লাখ এবং চিলিতে ১৪ লাখ মানুষকে উঁচু স্থানে সরে যেতে বলা হয়।

যদিও সুনামির আশঙ্কা ছিল বড় ধরনের, বাস্তবে ঢেউয়ের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। ফলে একে একে দেশগুলো সতর্কতা তুলে নেয় বা হ্রাস করে। জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িকভাবে খালি করা হয়েছিল, তবে বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তবে সতর্কতার সময় জাপানে একজন নারী গাড়ি চালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে পাহাড়ের খাড়িতে পড়ে মারা যান। এখন পর্যন্ত এটাই একমাত্র নিশ্চিত হতাহতের ঘটনা।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক শহরে। জলোচ্ছ্বাসে শহরের বন্দর প্লাবিত হয় এবং একটি মাছ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র পানিতে ডুবে যায়। শহরের মেয়র আলেক্সান্ডার ওভস্যাননিকভ জানান, পানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পৌঁছায়, যা তটরেখা থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে অবস্থিত।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্রোতের তোড়ে ভবন ও ধ্বংসাবশেষ ভেসে যাচ্ছে।


ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পর কামচাতকার ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পটি ১৯০০ সালের পর রেকর্ড হওয়া ১০টি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। এরপর একাধিক পরাঘাত অনুভূত হয়েছে, যার একটি ছিল ৬ দশমিক ৯ মাত্রার।

ভবিষ্যতে ৭ মাত্রার বেশি আরেকটি পরাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫৯ শতাংশ বলে সতর্ক করেছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।

২০১১ সালে জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হন। এবারের ঘটনা যদিও ভয়াবহ ছিল, তবে সময়মতো সতর্কতা এবং প্রস্তুতির কারণে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

১২৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন