জাতীয়

শেখ হাসিনা নেই, কিন্তু দমন-পীড়নের রূপ বদলায়নি: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ ৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামল ঠেকিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। ওই আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে যাত্রা হারায় ১,৪০০ মানুষ—তারপর গঠন করা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এবার এক বছর পার হওয়া স্বত্বেও সেই সরকারের ঘোষিত মানবাধিকার সংস্কার নিরাশাজনক পর্যায়ে কার্যকর হয়নি।

কী বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ?
ভিন্নমতের ওপর পুলিশের গ্রেপ্তার, বিরোধী দল ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারসাম্যচেষ্টার কারণে সাধারণ নাগরিকের অধিকার প্রতিরক্ষায় ব্যর্থতা।
১১টি সংস্কার কমিশন গঠন ও সুপারিশ পেশ হলেও, এখনও কোনো কাঠামোগত পরিবর্তন বাস্তবায়ন হয়নি।
২–৭ আগস্টে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ধ্বংস এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়েছে।

 

বিচারের অভাবে হাজারো মামলা
৮,৪০০+ পরিস্থিতিতে মামলা, মৃত্যুর অভিযোগে এসব মামলার অধিকাংশে কোনও অভিযুক্তের নামই নেই।
সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা প্রায় ৪০০।
সাবেক ঢাকা মেয়র আতিকুল ইসলাম ৬৮টি হত্যা–চেষ্টার মামলায় জড়িত, যদিও অধিকাংশ ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না।
৩৬টি মামলায় বিদেশে ছিলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র এখনও দাখিল হয়নি।

 

নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ভূমিকা
ইউনূস সরকার ‘স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ের প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে, রাজনৈতিক গ্রেপ্তার ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায়।
অপারেশন ডেভিল হান্ট (২০২৫ ফেভ্রুয়ারি) অভিযানে গ্রেপ্তার ছাড়িয়েছে ৮,৬০০ জন।
সেনাবাহিনীর সদস্য ও র‌্যাব অনুমোদিত সহিংসতার অভিযোগ থাকলেও গ্রেপ্তার সংখ্যা মাত্র ৬০, যদিও সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল শতাধিক ইউনিট।

 

মানবাধিকার কমিশন ও তদন্তের প্রতিবন্ধকতা
দেশের প্রথম গুম তদন্ত কমিশনে ১,৮০০+ অভিযোগ জমা পড়েছে; কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর অনাগ্রহ ও তথ্য ধ্বংসে তদন্তে বাধা।
অভিযুক্তদের মধ্যে কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিদেশে চলে গেছে, তাদের বিচার অনিশ্চিত।

 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সুপারিশ
নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধ ও বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
নিরাপত্তা বাহিনী সংস্কার ও র‌্যাব বিলুপ্তি করা।
নারীর অধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

 

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচার, নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন প্রয়োগ।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “যদিও ইউনূস সরকারের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তব পরিবর্তন আনতে হবে—না হলে মানুষের অধিকার সুরক্ষা কোনওভাবেই নিশ্চিত করা যাবে না।”

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন