পাকিস্তান সিরিজে টিকিট বিক্রিতে বিসিবির আয় প্রায় ৩ কোটি টাকা

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫ ৫:৪১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আয়োজিত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রায় ৩ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। প্রতিটি ম্যাচেই ইস্টার্ন এবং নর্দান স্ট্যান্ড পুরাপুরি দর্শকপ্রিয় ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে এটি সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড হিসাবেই বিবেচিত হচ্ছে। সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থ পুরোপুরি ব্যবহৃত হবে জুলাই ফাউন্ডেশন ও মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য।
দীর্ঘদিন পর হোম অব ক্রিকেটে ফিরে আসা সিরিজটি দর্শক ও খেলোয়াড় উভয়ের জন্যই সফল হয়েছে। মাঠের পারফরম্যান্সের মান দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে, আর মাঠে পুরনো উন্মাদনা ফিরে এসেছে।
বিপিএলের পর এ সিরিজের টিকিটও অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। যদিও কিছু অসন্তুষ্টি থাকলেও কালোবাজারির দৌরাত্ম্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্টেডিয়ামের ভেতরে বেশিরভাগ কালোবাজারি টিকিটই ছিল বিসিবির সৌজন্য খাত থেকে বরাদ্দকৃত।
প্রতি ম্যাচে টিকিটের ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয় স্পন্সর ও সৌজন্য খাতে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ, বিভিন্ন ক্লাব ও পৃষ্ঠপোষকরা বিনামূল্যে এই টিকিট পেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব টিকিট অনেক সময় কালোবাজারির হাত ধরে বিক্রি হয়। সৌজন্য খাত থেকে এই ধরনের টিকিট নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে দর্শকদের জন্য বরাদ্দ বাড়বে এবং কালোবাজারির প্রভাব কমবে।
এছাড়া, পাকিস্তান সিরিজ থেকে বিসিবির টিকিট বিক্রি থেকে ভালো আয় হয়েছে। তিন ম্যাচেই ইস্টার্ন ও নর্দান স্ট্যান্ডে দর্শক সংখ্যা পূর্ণ ছিল, যদিও শেষ ম্যাচে ক্লাব হাউস, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জের কিছু আসন ফাঁকা ছিল।
প্রতি ম্যাচে প্রায় ৯০ লাখ টাকা টিকিট বিক্রি করেছে বিসিবি, যার ফলে তিন ম্যাচে মোট আয় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার ওপরে। নিয়ম অনুযায়ী, এই টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের, তাই তাদের ম্যাচ প্রতি প্রায় ৬ লাখ টাকা প্রাপ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সিরিজের মতো ব্যবসায়িক সফলতা অন্য কোনো হোম সিরিজে দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টিকিট বিক্রি আয়ের দিক থেকে অপূর্ণ ছিল, যার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ম্যাচের অনিয়মিত সময়সূচি এবং দলের পারফরম্যান্স।
অবশ্যই, পাকিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত পুরো টিকিট বিক্রির অর্থ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জুলাই ফাউন্ডেশন ও মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় দেওয়া হবে। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার অংশ এবং টিকিট ছাপানোর খরচ বাদ দিয়ে লাভের পুরো অংশ সেই তহবিলে যাবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
১০৮ বার পড়া হয়েছে