মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: এখনো নিখোঁজ ৫, রোববার থেকে আংশিক পাঠদান

সোমবার দুপুরে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯ জনের, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন, যাদের মধ্যে অন্তত আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানান, "নিখোঁজ পাঁচজনের বিষয়ে তাদের পরিবার থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী এবং দুইজন অভিভাবক।"

এখনও শনাক্ত হয়নি নিহত ছয়জনের মরদেহ। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে। নিখোঁজদের স্বজনদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানটি আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস সীমিত আকারে চালু করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, "এই দুর্ঘটনা আমাদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় এবং একাডেমিক ক্ষতি কমাতে আমরা ধাপে ধাপে কার্যক্রম শুরু করছি। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাসও পর্যায়ক্রমে চালু হবে।"

তথ্য সঠিক রাখতে চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম
নিহত ও আহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে কলেজ প্রাঙ্গণে চালু করা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম)। এখান থেকে নিহত-আহতদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং কলেজ রেজিস্ট্রারের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফটকে নিরাপত্তা জোরদার, কাউন্সেলিং চালু
বৃহস্পতিবার সকালেও স্কুলের ফটক বন্ধ ছিল। ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে পরিচয়পত্র ও প্রমাণ দেখাতে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র নিখোঁজদের স্বজনদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে সোলায়মান জানান, স্কুলের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে, উৎসুক জনতার ভিড় যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় এবং অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম থেকে বিরত থাকা হয়।