চেয়ারম্যান ও এমডির প্রতারণার খেলায় জনগণের অর্থ লুট

সালমান এফ রহমান ও সরওয়ার হোসেনের দুর্নীতির কালো ছায়া থেকে ব্যাংকটিকে মুক্ত করার পরিবর্তে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ লোকদেরই ক্ষমতায় বসানো হয়েছে।

চেয়ারম্যান মো: মাহমুদ হুসাইন: আওয়ামী লীগের "বিশ্বস্ত" ব্যাংকারঃ

- তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার এমডি/সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী সরকারের আমলে ১২ বছর।
- ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিক ছিলেন জয়নাল হক সিকদার—শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ডোনার এবং তার মেয়ে আওয়ামী লীগের এমপি।
- প্রশ্ন হলো: যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় বছরের পর বছর ব্যাংকিং সেক্টরে ক্ষমতায় ছিলেন, তিনি কি কখনো স্বাধীনভাবে ব্যাংক পরিচালনা করতে পারবেন?

এমডি সৈয়দ মানসুর মুস্তাফা: সালমান-সরওয়ারের পুরনো সহযোগী
- তিনি IFIC-এ যোগদান করেছিলেন ২০১৫ সালে, সরওয়ার হোসেনের আমলে।
- ট্রাস্ট ব্যাংকেও সরওয়ারের সাথে কাজ করেছেন, যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
- তিনি ক্রেডিট, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং এন্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্সের দায়িত্বে থাকলেও, IFIC-এর মাধ্যমে গোপনে অর্থ পাচার ও ফ্রিজ একাউন্টের টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে।
- #মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামাল (অব.) ও আওয়ামী সুবিধাভোগী এবং সরওয়ারের দীর্ঘদিনের সহযোগী।

IFIC ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা: প্রতারণার নতুন অধ্যায়ঃ

- ফ্রিজ একাউন্টের টাকা অবৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্তোলন করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
- অর্থ পাচারের নতুন ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছে, যাতে ঋণখেলাপি ও দুর্নীতিবাজরা রক্ষা পায়।
- ব্যাংকিং নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য ঋণের সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।

সরকারের সংস্কার নাকি ধোঁকাবাজি?

- আওয়ামী লীগের লোকদেরই বিভিন্ন ব্যাংকে চেয়ারম্যান/এমডি বসানো হচ্ছে, যারা প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটে সহায়তা করবে।
- IFIC ব্যাংকের বর্তমান নেতৃত্ব প্রমাণ করে যে, সরকার ব্যাংকিং খাতকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে।

সতর্কবার্তা:
IFIC ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জমানো টাকা লুট হওয়ার এই খেলায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ আসছে—সতর্ক থাকুন!

নোটঃ "ব্যাংকিং সেক্টর সংস্কার নয়, বরং লুটেরা চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। IFIC ব্যাংক তার জ্বলন্ত উদাহরণ!"

লেখক: গবেষক, বিশ্লেষক এবং এক প্রতিবাদী কণ্ঠ।