সাতক্ষীরার পৌর এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, বিপাকে সাধারণ মানুষ

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫ ৬:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার পৌর এলাকায় দীর্ঘদিনের টানা বৃষ্টি, নদী-খাল দখল ও অনিয়ন্ত্রিত খননের কারণে জলাবদ্ধতা ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে রান্নাঘর, টয়লেট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। এই কারণে স্যানিটেশন সংকট সৃষ্টি হয়ে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর এ জলাবদ্ধতা সমস্যা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন না। তবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বেতনা নদীর খনন শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়, জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ১০ দিনে ৩৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী দুই-তিনদিন বৃষ্টিপাত কিছুটা কম থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মৎস্য ঘের গড়ে তুলায় ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ না থাকায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতবাড়ি, রান্নাঘর ও টিউবওয়েল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই ভেলায় যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলীনুর খান বাবুল বলেন, পানি নিষ্কাশনের পথ অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে এবং অপরিকল্পিত ঘের নিষিদ্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।
সদর উপজেলার ইউএনও শোয়াইব আহমাদ জানান, শাল্যে ও কুঞ্জোডাঙির স্লুইস গেট খুলে জল নিষ্কাশন বাড়ানো হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার সেচনালা ও খাল সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। বেতনা নদীর খনন কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া জানান, এক মাসের মধ্যে বেতনা নদীর খনন শেষ হবে, তারপর আর জলাবদ্ধতা হবে না। এছাড়া যেখানে পানি আটকানো হচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২০ বার পড়া হয়েছে