বসুন্ধরা বিতর্কে নতুন মাত্রা: হৃতিকার ভিডিও ঘিরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আলোচিত বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সানবীর সোবহান ও তার মাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাত জাহান হৃতিকার একটি ভিডিওসহ বিস্ফোরক অভিযোগ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সাংবাদিক মহলে পরিণত হয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ভিডিওতে হৃতিকা নিজেই জানান, তিনি সানবীর সোবহানের সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন (বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা) এবং এই সম্পর্কের মধ্যে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তার দাবি, শুধু সানবীর নন, বরং তার মা-ও তাকে হুমকি দিয়েছেন এবং বসুন্ধরার বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। ভিডিওতে হৃতিকা আরও বলেন, সানবীরের লোকজনও তাকে ভয়ভীতি ও নির্যাতন করেছে। সবচেয়ে আলোচিত অংশটি হলো, হৃতিকার বক্তব্যে উঠে আসে—সানবীরের মা তাকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, “যেভাবে মুনিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেইভাবে তাকেও সরিয়ে দেওয়া হবে।”
এই ভিডিও ও অভিযোগ প্রকাশের পর সাংবাদিক মহলে নতুন অনুসন্ধানী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। তারা হৃতিকার অভিযোগের সত্যতা, ভিডিওর প্রেক্ষাপট, এবং বসুন্ধরা পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আছে কি না—এসব বিষয় ঘিরে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে, সাংবাদিকদের একটি অংশ এই ধরনের উচ্চ-প্রোফাইল ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও ও অভিযোগ ভাইরাল হওয়ার ফলে নারী নির্যাতন, ক্ষমতাবান পরিবারের প্রভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই দ্রুত বিচার ও ভুক্তভোগীর নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু মহল সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা ও তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন, যেন গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্তি না ছড়ায়।
বসুন্ধরা পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা নতুন অভিযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ভিডিও নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী উদ্যোগ এখনো চলমান। বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং ন্যায়বিচার ও তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
১৫৫ বার পড়া হয়েছে