সর্বশেষ

সারাদেশ

শিবালয়ে কোটি টাকার প্রতারণা: কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি গ্রেফতার

সোহেল রানা, মানিকগঞ্জ 
সোহেল রানা, মানিকগঞ্জ 

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫ ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ‘গ্রামীণ উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ এবং ‘গ্রামের আলো’ নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পর টাকা ফেরত না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

শিবালয় থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জগন্নাথ চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদী শওকত হোসেন সাকিম (৫৬) জানান, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পর্যায়ক্রমে উল্লেখিত কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা জমা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অধিক মুনাফাসহ টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও মেয়াদ শেষে টাকা ফেরত দেয়নি। উপরন্তু, টাকা চাইতে গেলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

গত সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একদল ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়ে টাকা ফেরত চাইলে কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তারা টাকা ফেরত দিতে পারবেন না। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় জনতা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জগন্নাথ চন্দ্র দাসকে ধরে ফেলে, অন্য অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় শিবালয় থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে আরও ছয়জনকে। তারা হলেন—
১. মোঃ আলম হোসেন (৪৪), সাধারণ সম্পাদক
২. মোঃ রজব আলী (৪০), সদস্য
৩. মোহাম্মদ আলী (৪০), সদস্য
৪. বলাই চন্দ্র দাস (৬০), যুগ্ম সম্পাদক
৫. গোপী নাথ দাস (৩৫), কোষাধ্যক্ষ
৬. সুমা রানী দাস (৩২), ব্যয় নিয়ন্ত্রণ সদস্য।

এছাড়া আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

মামলাটি দণ্ডবিধির ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গ), ৪১৭ (প্রতারণা), ৪২০ (প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদ অর্জন), ৫০৬ (হুমকি প্রদান) ও ৩৪ (একাধিক ব্যক্তির অভিপ্রায়) ধারায় রুজু করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসীম মন্ডল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি ‘লভ্যাংশের লোভ’ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে আসছিল এবং এভাবে অনেকের কাছ থেকেই কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেন, সদস্য তালিকা এবং ব্যাংক হিসাব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাব জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন