সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১১

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫ ৫:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ৩৫তম বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভে সহিংসতা চরমে পৌঁছে।

ব্লগার ও শিক্ষক আলবার্ট ওজওয়াংয়ের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ে। দুর্নীতি, করবৃদ্ধি, পুলিশি দমন-পীড়ন ও সরকারবিরোধীদের নিখোঁজ হওয়ার মতো ইস্যু ঘিরে বিক্ষোভ ক্রমশ বিস্তৃত হয়।

নাইরোবির কাংগেমি এলাকায় রয়টার্সের একজন প্রতিবেদক প্রত্যক্ষ করেন, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে, কিন্তু উত্তেজনা বাড়লে গুলি চালানো হয়। সেখানে এক বিক্ষোভকারী রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় ইগল নার্সিং হোম জানিয়েছে, ছয়জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হাসপাতাল ২৪ জন আহতকে চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানায়।

পুলিশের তথ্যমতে, দেশজুড়ে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কার গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি পুলিশ।

কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (KNCHR) জানিয়েছে, তারা অনেক বেসামরিক পোশাকধারী নিরাপত্তা সদস্যকে চিহ্নহীন গাড়িতে চলাফেরা করতে দেখেছে, যাদের অনেকেই ছিল হুডি পরা এবং অস্ত্রধারী। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিধান এবং পরিচয় প্রকাশ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি।

KNCHR আরও দাবি করেছে, নাইরোবি ও এলডোরেট এলাকায় পুলিশ ও সশস্ত্র গ্যাং একত্রে চাপাতি ও চাবুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। অন্যদিকে, নিয়েরি, এমবু এবং নাকুরুতেও বিক্ষোভ হয়। নাকুরুতে ঘোড়ায় চড়া পুলিশ পাথর নিক্ষেপকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।

রাজধানী নাইরোবির প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শহরের ভেতরে যান চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এতে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়, স্কুল ও একটি শপিং মলও বন্ধ রাখা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন বিক্ষোভকে ‘সন্ত্রাসের ছদ্মবেশ’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, সরকার শান্তি ও সম্পদ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রতিবছর ৭ জুলাই কেনিয়ায় ‘সাবা সাবা’ দিবস পালন করা হয়, যা ১৯৯০ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্মরণে পালিত হয়। ওই আন্দোলনের ফলে দেশটি বহু বছর পর বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসে।

ব্লগার ওজওয়াংয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে ২৫ জুন হওয়া বিক্ষোভেও ১৯ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। তারা সকলেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন