সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের বিমান হামলায় কাঁপছে ইয়েমেন, হুথিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
৭ জুলাই ভোরে ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত হুদাইদা, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কানাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে ২০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং ৫০টির বেশি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। লক্ষ্যবস্তু ছিল হুথিদের সামরিক অবকাঠামো, অস্ত্র পরিবহন কেন্দ্র এবং ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি জাহাজ, যেটি হুথিরা ২০২৩ সালে দখল করে রাডার স্থাপন করেছিল। হামলার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

হামলার পরপরই ইয়েমেন থেকে ইসরাইলের দিকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথি বিদ্রোহীরা। ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করেছে এবং এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হুথি সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলি আক্রমণ প্রতিহত করতে দেশীয় প্রযুক্তির বহু সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এই হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন রেড সি-তে একটি বিদেশি কার্গো জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে এবং এর জন্য হুথিদের দায়ী করা হচ্ছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুথিরা ইসরাইল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে শতাধিক হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে ইসরাইল এই ধরনের পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে।

হুদাইদা শহরের প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হওয়ায় পুরো শহর অন্ধকারে ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, “ইয়েমেনের ভাগ্য হবে ইরানের মতো—যে-ই ইসরাইলকে আঘাত করবে, তার হাত কেটে ফেলা হবে।”

ইসরাইল ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত এবং নতুন কোনো সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।

১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন